বোরহান উদ্দিন, দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য কেরামত আলী কে নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গেছে ১৮ বছর পূর্বে একই গ্রামের মৃত খেজু শেখের মেয়ে রেবেকা খাতুন কে দ্বিতীয় বিবাহ করেন ডাংধরা ইউপি সদস্য কেরামত আলী কেরু।
নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র নির্যাতনের ঘটনায় স্বামীও জড়িত
এক বছর পর রেবেকা খাতুন এর কোলে আসে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কন্যা সন্তানের অজুহাতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেয় কেরামত আলী কেরু। কন্যা সন্তান নিয়ে রেবেকা তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করে। তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর রেবেকা সাংবাদিকদের জানান মাঝেমাঝেই গোপনে অনৈতিক কাজের জন্য ডাংধরা ইউনিয়নের চেংটিমারী গ্রামের আজিজুল হকের পুত্র ইউপি সদস্য কেরামত আলী কেরু আমাদের বাড়িতে আসত। এই সুযোগে রাতে জোড় করে ধর্ষণের চেষ্টা জনগণ হাতেনাতে ধরে ফেলে।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে সানন্দবাড়ী তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জোয়াহের হোসেন খান সহকারী পুলিশ পরিদর্শক এসআই আফতাব উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কেরামত আলীকে গ্রেফতার করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করে তাকে জামালপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে । পরে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০(সংশোধিত – ২০০০) এর ৯ ( ৪) (খ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।