দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক হাজার ৬৮৪ জনের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এছাড়াও এ সময়ের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬ জন। এ নিয়ে মোট পাঁচ হাজার ৫৯৩ জন মারা গেলেন করোনায়। আর উল্লেখিত সময়ে নতুন সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৭৬ জন।
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত এক হাজার ৬৮৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৮২ হাজার ৯৫৯ জন হল।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৬ জনকে নিয়ে দেশে এই ভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৫৯৩ জনে।
এক দিনে মৃত্যুর এই সংখ্যা গত ১৩৯ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম।
রোজার ঈদের পর গত ২৮ মে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর গত ১৯ অক্টোবর ১৭ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয়েছিল।
গাইবান্ধায় ভুয়া চিকিৎসক আটক ৯০ হাজার টাকা জরিমানা
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক হাজার ৫৭৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৪৯ জন হয়েছে।
এদিকে ঢাকা শহরের প্রায় অর্ধেক মানুষের করোনা সংক্রমণ ঘটে গেছে। অ্যান্টিবডি পরীক্ষার ফলাফল বলছে, তিন মাস আগেই রাজধানীর ৪৫ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
করোনাভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা অনুমান করছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) যৌথ গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসের সংক্রমণ হলে তা প্রতিহত করার জন্য রক্তের শ্বেতকণিকা অ্যান্টিবডি তৈরি করে।
এর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা জন্ম নেয়। অ্যান্টিবডি শনাক্তের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছিলেন কি না, তা জানা যায়।