ঢাকা জেলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের মেঘুলা বাজারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ‘চায়না জাল’ জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে প্রশাসন। চায়না ধোয়াইর তৈরির ১১টি দোকান ও ৫টি গোডাউনে একযোগে সাঁড়াশি অভিযান চালায় দোহার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম মুস্তাফিজুর রহমান ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের পাগলা স্টেশন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট শাম্স সাদেকীনসহ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি বিশেষ দল। এসময় দোহারের মেঘুলা বাজারের দোকান ও১ৎ গোডাউন থেকে আনুমানিক পাঁচ কোটি মিটার কারেন্ট জাল ও ১৭০০ পিছ চায়না জাল জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের মেঘুলা বাজারের ১১টি দোকানে ও ৫টি গোডাউনে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের শতাধিক সদস্য অংশগ্রহণ করে। জব্দ কৃত চায়না জাল ও কারেন্ট জাল দুপুর তিনটায় দিকে নারিশা নদীর পাড়ে জনসম্মুখে পুরিয়ে ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই চায়না জাল ও কারেন্ট জাল নিষিদ্ধ তারপরও ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে যাচ্ছে। এই মেঘুলা বাজার হচ্ছে চায়না জালের দ্বিতীয় স্থান প্রথম স্থান হচ্ছে জয়পাড়া। এ চায়না জাল ও কারেন্ট জাল এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও কেন বন্ধ হচ্ছে না সেটা আমরাও বুঝতে পারছিনা। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ আনুমানিক সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঢাকা জোন অধিনস্থ বিসিজি স্টেশন পাগলা কর্তৃক স্টেশন কমান্ডার পাগলা লেফটেন্যান্ট শাম্স সাদেকীন এর নেতৃত্বে ঢাকার দোহার উপজেলাধীন মেঘুলা বাজারে নতুন কারেন্ট জাল জব্দের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে উক্ত এলাকায় মোট ১১ টি গোডাউন তল্লাশি করে আনুমানিক ৫ কোটি মিটার নতুন কারেন্ট জাল ও ১৭০০ পিস চাইনা দুয়ারি জাল জব্দ করা হয় এবং কারেন্ট জাল বিক্রির সাথে জড়িত ১ জন আটক করা হয়।পরবর্তীতে দোহার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুস্তাফিজুর রহমান কর্তৃক মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আটককৃত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দকৃত জাল সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মোঃ সেলিম রেজা এবং দোহার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। দোহার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এ ধরণের জাল দিয়ে মাছ ধরার ফলে আমাদের মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযানের ফলে কারেন্ট জাল এখন কমে গেছে। কিন্তু ‘চায়না ধোয়াইর’একটি নতুন প্রযুক্তি। এটা ব্যবহারের ফলে মাছের পোনা থেকে শুরু করে ডিমও ধ্বংস হচ্ছে। এ ধরণের জাল ব্যবহার নিষিদ্ধ। দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এ ধরণের অভিযান চলমান থাকবে।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।