বরিশালের উজিরপুরে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। স্থানীয় গুঠিয়া ইউনিয়নের কাকরধারী গ্রামে কলেজছাত্রী ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি দুই ভাইকে বৃহস্পতিবার রাতে ধরতে গেলে উজিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ও এএসআই নুরুল ইসলামের ওপর তারাসহ পরিবারের লোকজন একত্রিত হয়ে অতর্কিত হামলা করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশের ওসি পরক্ষণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে অভিযুক্ত সহোদর সুমন ও সুজন পালিয়ে যায়। রাতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়- স্থানীয় কাকরধারী গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলার গুঠিয়া আইডিয়াল কলেজছাত্রীর বাবা মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার পড়শী দুই ভাই সুমন ও সুজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত এসআই নিজাম উদ্দিন অপস্থ অপর কর্মকর্তা এএসআই নুরুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযুক্তদের বাসার উদ্দেশে যান। এবং বাসায় পৌছে অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেপ্তারও করেন। কিন্তু এতেই ঘটে বিপত্তি।
বিএম কলেজে হামলা-ভাঙচুর মামলায় ৪ ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরানোর সময় তাদের পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলে পড়ে। একপর্যায়ে তারা লাঠিসোঠা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গ্রেপ্তার দুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় হামলায় পুলিশ কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ও নুরুল ইসলাম আহত হন। খবর পেয়ে থানার ওসি বিপুল সংখ্যক পুলিশ নদস্যকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অভিযুক্ত দুই ভাইসহ হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থল থেকে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, এই হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও তাদের সাথে অভিযানে অংশ নেওয়া দুই কনস্টেবলও আহত হয়েছেন। কিন্তু তাদের অবস্থা অতটা গুরুতর না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি না করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যদিও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোন খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।