ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাবির এক ছাত্রীর দায়ের করা অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এদিকে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা সেই ছাত্রীকে ‘চরিত্রহীন’ বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই কথা বলেন। নূরের এমন মন্তব্যের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে সামাজিকমাধ্যমে।
নোয়াখালীতে গণপিটুনি দিয়ে ডাকাতকে পুলিশ সোপর্দ
নুরুল হক নূর বলেন, ‘ভিক্টিমের পরিচয় তো ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। ঢাবির ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের না কি ছাত্রী। ফাতেমা আক্তার বিথি। তার ভাই মিথ্যা বললেন। তার ভাই বলেছিলো, নাজমুল হাসান সোহাগ তাদের বাসায় যাওয়া-আসা করতো। তাদের সাথে বিয়ের কথাবার্তাও পাকাপোক্ত হয়েছিলো। ’
ডাকসুর সাবেক ভিপি আরো বলেন, ‘নাজমুল সোহাগের সাথে যে একটা ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে আপনারা দেখেছেন, লঞ্চের কেবিনে হাসিখুশিভাবে। যে লঞ্চের কেবিনে মেয়েটি ধর্ষণের অভিযোগটি এনেছিলো সেই লঞ্চের কেবিনে। একেবারেই হাস্যরসাত্মক। ছি, আমরা ধিক্কার জানাই। এতো নাটক যে করছে, যেই দুশ্চরিত্রাহীন। যে ধর্ষণের নাটক করছে। স্বেচ্ছায় একজন ছেলের সাথে বিছানায় গিয়ে, লঞ্চে হাসিখুশিভাবে ছিল তারা।’
তবে নুরের এমন বক্তব্য নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে হোক বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনকে ধর্ষণ হিসেবেই ধরা হয়। সারা দেশে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয় এবং অপরাধীরা আইনের মুখোমুখি হয়। সেকারণে কোনো মেয়ে হাসিখুশি থাকলেই সেটাকে ধর্ষণ না বলে উল্টো তাকে চরিত্রহীন বলাটাই অন্যায়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ এনে লালবাগ থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রী। এতে হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি এবং নুরুল হক নূরসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরদিন একই বাদী কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।