ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে Logo দশমিনায় জেলেদের জিম্মি করে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি Logo বেনাপোলে কোটি টাকার বকেয়া আদায়ের দাবিতে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন

ধর্ষণ ও শালিসের নামে জনপ্রতিনিধির যৌন হয়রানীর শাস্তি দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
  • / ১০৮৫ বার পড়া হয়েছে

ধর্ষণ ও শালিসের নামে জনপ্রতিনিধির যৌন হয়রানীর শাস্তি দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন

আতিকুর রহমান আতিক, মফস্বল ডেস্ক থেকে :

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে হরিজন সম্প্রদায়ের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং শালিসের নামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির যৌন হয়রানী ও প্রতারণার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

১৯ জুন শনিবার সকাল ১১টায় গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (গানাসাস) মার্কেটের সামনে আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম, বাংলাদেশ বাসফোর (হরিজন) কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম), নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ এর আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।বাংলাদেশ রবিদাস ফোরামের সভাপতি সুনিল রবিদাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, জাহাঙ্গীর কবির তনু, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র জি.এম. চৌধুরী মিঠু, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদস্য সচিব ও অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রানী দেবী, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম ও বাংলাদেশ বাসফোর (হরিজন) কল্যাণ পরিষদের সভাপতি কৃর্তন বাসফোর, দলিত নেতা খিলন রবিদাস, কৈলাশ রবিদাস, দুঃখু রবিদাস, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিআরএফ সভাপতি সুজন রবিদাস, নয়ন ভুঁইমালী, বাবলু রবিদাস, সুজন রবিদাস, টুকু রবিদাস, দিপলাল রবিদাস, অধীর রবিদাস, মনোজ প্রসাদ প্রমুখ।বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে হরিজন জনগোষ্ঠীর মানুষ অত্যন্ত প্রান্তিক অবস্থায় রয়েছে। তাই ভিকটিম পরিবারের নিরাপত্তাসহ ওই ঘটনার সাথে যুক্ত সকল আসামীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থাসহ শাস্তি নিশ্চিতের দাবী জানান তারা। একই সাথে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের নির্দেশে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জানান। ঘটনাটির তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত প্রদান করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ধর্মঘটে যাবেন বলে জানান তারা।উল্লেখ্য, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে হরিজন জনগোষ্ঠীর নাবালিকা মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্থানীয় প্রভাবশালী মোতালেব টানা দেড় মাস পাশবিক নির্যাতনের পর পাঁচদিন আগে রাতের আধাঁরে বাড়ির পাশে রাস্তায় ফেলে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশীরা আর বাড়িতে উঠতে দেয়নি নির্যাতিতাকে। ঠাঁই হয়নি নানার বাড়ি ডোমেরহাটেও। মেয়েটির মা-বাবা বাধ্য হয়ে মেয়েটিকে সাবেক ইউপি সদস্য হায়দারের বাড়িতে রেখে আসে। সেখানেও ইউপি সদস্য হায়দার, মতিন ও এক সবজি বিক্রেতা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে গোপনে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে নির্যাতিতার মা। এলাকায় শালিস বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে হরিজন সম্প্রদায়ের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং শালিসের নামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির যৌন হয়রানী ও প্রতারণার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুন) সকাল ১১টায় গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (গানাসাস) মার্কেটের সামনে আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম, বাংলাদেশ বাসফোর (হরিজন) কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম), নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ এর আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বাংলাদেশ রবিদাস ফোরামের সভাপতি সুনিল রবিদাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, জাহাঙ্গীর কবির তনু, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র জি.এম. চৌধুরী মিঠু, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদস্য সচিব ও অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রানী দেবী, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম ও বাংলাদেশ বাসফোর (হরিজন) কল্যাণ পরিষদের সভাপতি কৃর্তন বাসফোর, দলিত নেতা খিলন রবিদাস, কৈলাশ রবিদাস, দুঃখু রবিদাস, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিআরএফ সভাপতি সুজন রবিদাস, নয়ন ভুঁইমালী, বাবলু রবিদাস, সুজন রবিদাস, টুকু রবিদাস, দিপলাল রবিদাস, অধীর রবিদাস, মনোজ প্রসাদ প্রমুখ।

বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে হরিজন জনগোষ্ঠীর মানুষ অত্যন্ত প্রান্তিক অবস্থায় রয়েছে। তাই ভিকটিম পরিবারের নিরাপত্তাসহ ওই ঘটনার সাথে যুক্ত সকল আসামীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থাসহ শাস্তি নিশ্চিতের দাবী জানান তারা। একই সাথে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের নির্দেশে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জানান। ঘটনাটির তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত প্রদান করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ধর্মঘটে যাবেন বলে জানান তারা।

উল্লেখ্য, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে হরিজন জনগোষ্ঠীর নাবালিকা মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্থানীয় প্রভাবশালী মোতালেব টানা দেড় মাস পাশবিক নির্যাতনের পর পাঁচদিন আগে রাতের আধাঁরে বাড়ির পাশে রাস্তায় ফেলে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশীরা আর বাড়িতে উঠতে দেয়নি নির্যাতিতাকে। ঠাঁই হয়নি নানার বাড়ি ডোমেরহাটেও। মেয়েটির মা-বাবা বাধ্য হয়ে মেয়েটিকে সাবেক ইউপি সদস্য হায়দারের বাড়িতে রেখে আসে। সেখানেও ইউপি সদস্য হায়দার, মতিন ও এক সবজি বিক্রেতা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে গোপনে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে নির্যাতিতার মা। এলাকায় শালিস বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন ইউপি চেয়ারম্যান।

 

[irp]

ধর্ষণ ও শালিসের নামে জনপ্রতিনিধির যৌন হয়রানীর শাস্তি দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১১:১৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

ধর্ষণ ও শালিসের নামে জনপ্রতিনিধির যৌন হয়রানীর শাস্তি দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন

আতিকুর রহমান আতিক, মফস্বল ডেস্ক থেকে :

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে হরিজন সম্প্রদায়ের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং শালিসের নামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির যৌন হয়রানী ও প্রতারণার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

১৯ জুন শনিবার সকাল ১১টায় গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (গানাসাস) মার্কেটের সামনে আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম, বাংলাদেশ বাসফোর (হরিজন) কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম), নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ এর আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।বাংলাদেশ রবিদাস ফোরামের সভাপতি সুনিল রবিদাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, জাহাঙ্গীর কবির তনু, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র জি.এম. চৌধুরী মিঠু, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদস্য সচিব ও অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রানী দেবী, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম ও বাংলাদেশ বাসফোর (হরিজন) কল্যাণ পরিষদের সভাপতি কৃর্তন বাসফোর, দলিত নেতা খিলন রবিদাস, কৈলাশ রবিদাস, দুঃখু রবিদাস, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিআরএফ সভাপতি সুজন রবিদাস, নয়ন ভুঁইমালী, বাবলু রবিদাস, সুজন রবিদাস, টুকু রবিদাস, দিপলাল রবিদাস, অধীর রবিদাস, মনোজ প্রসাদ প্রমুখ।বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে হরিজন জনগোষ্ঠীর মানুষ অত্যন্ত প্রান্তিক অবস্থায় রয়েছে। তাই ভিকটিম পরিবারের নিরাপত্তাসহ ওই ঘটনার সাথে যুক্ত সকল আসামীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থাসহ শাস্তি নিশ্চিতের দাবী জানান তারা। একই সাথে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের নির্দেশে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জানান। ঘটনাটির তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত প্রদান করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ধর্মঘটে যাবেন বলে জানান তারা।উল্লেখ্য, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে হরিজন জনগোষ্ঠীর নাবালিকা মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্থানীয় প্রভাবশালী মোতালেব টানা দেড় মাস পাশবিক নির্যাতনের পর পাঁচদিন আগে রাতের আধাঁরে বাড়ির পাশে রাস্তায় ফেলে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশীরা আর বাড়িতে উঠতে দেয়নি নির্যাতিতাকে। ঠাঁই হয়নি নানার বাড়ি ডোমেরহাটেও। মেয়েটির মা-বাবা বাধ্য হয়ে মেয়েটিকে সাবেক ইউপি সদস্য হায়দারের বাড়িতে রেখে আসে। সেখানেও ইউপি সদস্য হায়দার, মতিন ও এক সবজি বিক্রেতা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে গোপনে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে নির্যাতিতার মা। এলাকায় শালিস বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে হরিজন সম্প্রদায়ের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং শালিসের নামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির যৌন হয়রানী ও প্রতারণার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুন) সকাল ১১টায় গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (গানাসাস) মার্কেটের সামনে আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম, বাংলাদেশ বাসফোর (হরিজন) কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম), নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ এর আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বাংলাদেশ রবিদাস ফোরামের সভাপতি সুনিল রবিদাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, জাহাঙ্গীর কবির তনু, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র জি.এম. চৌধুরী মিঠু, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদস্য সচিব ও অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রানী দেবী, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম ও বাংলাদেশ বাসফোর (হরিজন) কল্যাণ পরিষদের সভাপতি কৃর্তন বাসফোর, দলিত নেতা খিলন রবিদাস, কৈলাশ রবিদাস, দুঃখু রবিদাস, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিআরএফ সভাপতি সুজন রবিদাস, নয়ন ভুঁইমালী, বাবলু রবিদাস, সুজন রবিদাস, টুকু রবিদাস, দিপলাল রবিদাস, অধীর রবিদাস, মনোজ প্রসাদ প্রমুখ।

বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে হরিজন জনগোষ্ঠীর মানুষ অত্যন্ত প্রান্তিক অবস্থায় রয়েছে। তাই ভিকটিম পরিবারের নিরাপত্তাসহ ওই ঘটনার সাথে যুক্ত সকল আসামীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থাসহ শাস্তি নিশ্চিতের দাবী জানান তারা। একই সাথে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের নির্দেশে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জানান। ঘটনাটির তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত প্রদান করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ধর্মঘটে যাবেন বলে জানান তারা।

উল্লেখ্য, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে হরিজন জনগোষ্ঠীর নাবালিকা মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্থানীয় প্রভাবশালী মোতালেব টানা দেড় মাস পাশবিক নির্যাতনের পর পাঁচদিন আগে রাতের আধাঁরে বাড়ির পাশে রাস্তায় ফেলে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশীরা আর বাড়িতে উঠতে দেয়নি নির্যাতিতাকে। ঠাঁই হয়নি নানার বাড়ি ডোমেরহাটেও। মেয়েটির মা-বাবা বাধ্য হয়ে মেয়েটিকে সাবেক ইউপি সদস্য হায়দারের বাড়িতে রেখে আসে। সেখানেও ইউপি সদস্য হায়দার, মতিন ও এক সবজি বিক্রেতা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে গোপনে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে নির্যাতিতার মা। এলাকায় শালিস বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন ইউপি চেয়ারম্যান।

 

[irp]