ধূমকেতুর ঘায়েলেই ডাইনোসরের বিলুপ্তি!
প্রযুক্তি ডেস্কঃপ্রায় দেড়শ বছর আগের কথা। ওই সময় পৃথিবীর বাসিন্দা ছিল ডাইনোসর। সেই সঙ্গে বিশালাকায় ধূমকেতু আর আগ্নেয়গিরি উপচে পড়তো পৃথিবীর বুকে। হঠাৎ করেই ডাইনোসরেরর বিলুপ্তি হয়, পৃথিবী মানুষের বসবাসের যোগ্য হয়ে উঠে।
কীভাবে ডাইনোসরের বিলুপ্তি হয়, এ নিয়ে যুগ যুগ ধরেই চলছে গবেষণা। কোনওভাবেই খুলছে না রহস্যের জট। বহু গবেষক তাদের তথ্য উপাত্ত দিয়ে যুক্তি দিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত কোনও প্রমাণ বা তথ্য এখনও সুস্পষ্ট করতে পারেনি গবেষকরা।
সম্প্রতি ডাইনোসর বিলুপ্তি নিয়ে গবেষণার ধারাবাহিকতায় নতুন তথ্য দিয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের দাবি, ডাইনোসরদের বিলুপ্তির রহস্য মেক্সিকোর এক গুহায় লুকিয়ে রয়েছে। গুহার নাম চিকসুলুব।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানান, চিকসুলুব ইম্প্যাক্টর হলো এক দানব গ্রহাণু। যা পৃথিবীর উপর এসে পড়ে। এর ফলে মেক্সিকান পেনিনসুলায় এক বিশাল গুহা তৈরি হয়। এই গুহায় মহাজাগতিক ধুলোর সন্ধান মিলেছে। আরও রয়েছে ইরিডিয়াম। এই ইরিডিয়াম ডাইনোসরদের জীবাশ্মের সঙ্গেও পাওয়া গিয়েছে। এর মানে হল, এই ইরিডিয়াম ডাইনোসরদের সময়েও ছিল।
“পেট্রোলিয়ামের খোঁজ করতে গিয়েই এই গুহার খোঁজ মেলে। শুরু হয় গবেষণা।”
গবেষকদের মতে, চিকসুলুব গুহা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে নিশ্চিত হওয়া যায় সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আছড়ে পড়া ওই ধূমকেতুর মাধ্যমেই বিলুপ্ত হয় ডাইনোসর।
এই বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে। ধূমকেতুর মাধ্যমেই নানা রাসায়নিক কণা, নানা প্রয়োজনীয় জীবাণু, সমুদ্র পানি পৃথিবীতে এসে মানুষের বসবাসের উপযোগী করে তোলার প্রমাণ মিলবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।