ধৈর্য ধরতে বললেন বাইডেন,কারচুপির অভিযোগ ট্রাম্পের অভিযোগ ট্রাম্পের, ধৈর্য ধরতে বললেন বাইডেন।প্রমাণাদি ছাড়াই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্যাটলগ্রাউন্ড নেভাদা, জর্জিয়ায় জর্জিয়ায় এগিয়ে আছেন বাইডেন। ট্রাম্প এগিয়ে নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভেনিয়া এবং আলাস্কায়।
জয়রে জন্য বাইডেনরে দরকার মাত্র ৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। ট্রাম্পের প্রয়োজন ৫৬টি। ফলাফল ঘোষণা বাকি ৬০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের। তার মধ্যে ২২টিতে এগিয়ে বাইডেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) রাতে দেয়া ভাষণে ট্রাম্প ভোট গণনাকারী, পর্যবেক্ষণদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন। ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে তোলেন ভোট কারচুপি এবং প্রতারণা অভিযোগ।
দাবি করেন, বৈধ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বৈধভাবে ভোট গণনা হলে আমি সহজেই জয়ী হবো। আর যদি ভোট গণনায় কারচুপি হয় তাহলে, তারা আমাদের থেকে নির্বাচন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছে।
ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে জর্জিয়ায় এগিয়ে গেলেন বাইডেন
দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উত্থাপন করেননি রিপাবলিকান এই নেতা। মঙ্গলবার নির্বাচনী রাতের পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি।ধৈর্য ধরতে বললেন বাইডেন,কারচুপির অভিযোগ ট্রাম্পের
মার্কিনদের পাশাপাশি পুরো দুনিয়া ভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে। চলছে নানা চুলচেরা বিশ্লেষণ। ২০২০ সালের নির্বাচনে ১২০ বছরের মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি’র তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প ২১৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে এগিয়ে। বাইডেন এগিয়ে ২৬৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে।
কয়েকটি রাজ্যের ভোট গণনা স্থগিতের জন্য মামলা করে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির। যে কয়কটি রাজ্য হোয়াইট হাউস জয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন জানিয়েছে উইসকনসিনের ভোট গণনার। যেখানে ভোট গণনা শেষে এগিয়ে আছেন বাইডেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় ট্রাম্প এবং বাইডেনর সমর্থকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় ভোট গণনা করছিলেন সংশ্লিষ্টরা। ট্রাম্পের সমর্থকরা ভোট গণনা বন্ধের আহ্বান জানান। ভোট গণনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সমর্থন জানান ডেমোক্র্যাটরা। এ রাজ্যের ৯৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাইডেন আছেন ৪৯ দশমিক ২৯ শতাংশ ভোট নিয়ে।
বৃহস্পতিবার ভোট গণনা নিয়ে উত্তেজনা চলাকালে জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান বাইডেন। বলেন, প্রত্যেক ভোট অবশ্যই গণনা করতে হবে। এটা ভোটারদের দাবি। অন্য কারো না। যারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবেন তাদের দাবি এটা।
বলেন, গণতন্ত্র কখনো কখনো অগোছালো হয়। এ কারণে মাঝে মাঝে ধৈর্য ধরতে হয়।
আইনজ্ঞরা ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আল জাজিরাকে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মিশেল গিলবার্ট বলেন, কোথাও সমস্যা হচ্ছে এটা বিশ্বাস করার মতো কিছু আমি দেখিনি।
ভোট গণনায় সময় লাগছে। সংশ্লিষ্টরা ভোট গণনা করছেন। এখানে প্রতারণা বা কারচুপির কিছু কোনো প্রমাণ দেখছি না। নির্বাচন চুরির কোনো প্রমাণ নেই, বলেন তিনি।
মঙ্গলবার নির্বাচনী রাতের পর বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভাষণে নির্বাচন, ভোট গণনা নিয়ে অব্যাহতভাবে মিথ্যাচার করায় প্রেসিডেন্টের ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় বেশ কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যম।
১৭ মিনিটের ভাষণে উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং ভিত্তিহীন অভিযোগের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। জোর দাবি জানান, নির্বাচন ছিনতাইয়ের জন্য ডেমোক্র্যাটরা ভোট কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে।
জবাবে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন টুইট বার্তায় বলেন, আমাদের গণতন্ত্র কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। এখনও না; কখনই না। যুক্তরাষ্ট্র অনেক যুদ্ধে লড়ে এ পর্যন্ত এসেছে। আমাদের অনেক ত্যাগ করতে হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।