নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে বিএনপি!?
আস্থা ডেস্কঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটকের পর বাকী নেতাদের অনেকেই আত্মগোপন করেছে।
সংগঠনটি যখন সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করছে তখন সিনিয়র নেতাদের আটক ও আত্মগোপন নতুন করে দলটির জন্য নতুন সংকট তৈরি করছে বলেই প্রশ্ন উঠছে বলেই মনে হচ্ছে।
কিন্তু দলটির নেতারা দাবি করছে আটক ও মামলায় সাজা দিয়ে অনেক নেতাকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরানো হলেও তাতে দলের অভ্যন্তরে কোন সংকট তৈরি হবে না। কারণ তারা মনে করেন দলটিতে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা আছে এবং কেউ আটক হলে বিকল্প নেতারাই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিবেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরীন বলেন, বিএনপি সংগঠিত হবার প্রচেষ্টায় নেতাদের আটকের একটি প্রভাব থাকবেই। কিন্তু দলটি সেই সংকট মোকাবেলায় কী পদক্ষেপ নেয় সেটিও সামনের দিনগুলোতে দেখার বিষয় হবে।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, এমনটি যে ঘটতে পারে তা আমাদের জানাই ছিলো। এজন্য আগে থেকেই দল প্রস্তুত আছে। সে কারণে নেতাদের আটক কিংবা শাস্তিতে দলে সংকট হবে না। বরং আন্দোলনর মাধ্যমেই আটক নেতারা বেরিয়ে আসবে।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হতে পারে এমন নেতাদের টার্গেট করে আটক বা আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। কিন্তু দলের নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা থাকায় এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা তাদের জন্য কঠিন কিছু হবে না।
প্রসঙ্গত, আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে করার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এখন চূড়ান্ত আন্দোলনে আছে বিএনপি।