নভেম্বরে গণপিটুনিতে নিহত-১০, অজ্ঞাত লাশ-৪৪
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নভেম্বরে দেশে অন্তত ১৯টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ১০ জন নিহত ও ১১ জন গুরুতর আহত হয়েছে। গণপিটুনিতে নিহতের মধ্যে ৩ জন চোর সন্দেহে, ২ জন চুরির অভিযোগে, ২ জন ডাকাত সন্দেহে, ১ জন সন্দেহজনক চাঁদাবাজ, ১ জন বাক-বিতণ্ডার জেরে ও ১ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী। অন্যদিকে নভেম্বরে মোট ৪৪ টি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে।
আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফ নিজে তথ্য সংগ্রহ করে এ জরিপ করে থাকেন।
সংস্থাটি জানায়, নভেম্বরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযানের সময় চারজনের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। একই সময়ে কারা হেফাজতে একজন বন্দির আত্মহননসহ মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময়ে রাজনৈতিক ৩৯টি ঘটনায় সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৪১৪ জন। তাদের মধ্যে ৭ জন নিহত ও ৪০৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৭ জন গুলিবিদ্ধ। নিহতদের মধ্যে ১ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ রয়েছে, যারা সবাই বিএনপির নেতা-কর্মী।
এমএসএফ জানায়, নভেম্বরে দায়ের করা মোট মামলায় আসামির তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে নাম রয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৮ শত ৫৬ জনের। সেইসঙ্গে ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির সংখ্যা কমপক্ষে ৫ হাজার ৫ শত ১৭ জন। অন্যদিকে, বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চা খাওয়া, চিকিৎসায় অবহেলা, কটু কথা, বাসে ওঠা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হামলা-পাল্টাহামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও লুটপাটে জড়িয়ে আহত হয়েছেন প্রায় ২২২ জন শিক্ষার্থীসহ নারী ও শিশু। একই সময়ে ৩২টি ঘটনায় ৩১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে হামলা, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
নভেম্বরে দেশে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার মধ্যে ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন হয়রানি কিছুটা কমলেও, আত্মহনন, হত্যা, পরিবারিক সহিংসতা ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা গত মাসের তুলনায় বেড়েছে।
এমএসএফের তথ্য বলছে, ৩শ ২০টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা গত মাসের তুলনায় ৩২টি বেশি। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ২৯টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ৭টি, ধর্ষণ ও হত্যা ২টি। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী।