গত ২০ আগস্ট রাশিয়ার ৪৪ বছর বয়সি বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি রাশিয়ার একটি অভ্যন্তরীণ বিমানে ভ্রমণের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৩২ দিন চিকিৎসার পর গত মঙ্গলবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, এই ৩২ দিনের মধ্যে ২৪ দিন তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন যে, সাম্প্রতিক অসুস্থতার সময় জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। নাভালনি সোমবার এক টুইটার বার্তায় বলেন, জার্মান চ্যান্সেলর একাকী তার সঙ্গে দেখা করেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধী নেতা নাভালনি হাসপাতালে থাকা অবস্থায় মার্কেল তাকে দেখতে গিয়েছিলেন বলে কোনো খবর প্রকাশিত হয়নি। তবে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর জার্মান ম্যাগাজিন ডার স্পাইগেল প্রথম খবর দেয়, চ্যান্সেলর তাকে দেখতে ‘গোপনে’ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তবে নাভালনি ‘গোপনীয়তা’র বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, জার্মান চ্যান্সেলর তাকে দেখতে গিয়েছিলেন এবং এখানে রাখঢাকের কিছু ছিল না।
আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস প্রকৃতি থেকেই সৃষ্টি হয়েছেঃ ডব্লিউএইচও
নাভালনির টুইটার বার্তা প্রকাশিত হওয়ার পর মার্কেলের মুখপাত্র স্টিফেন সেইবার্ট এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন যে, চ্যান্সেলর গত সপ্তাহে ব্যক্তিগতভাবে হাসপাতালে নাভালনিকে দেখতে গিয়েছিলেন। তবে ওই সাক্ষাৎ কতক্ষণ স্থায়ী হয়েছিল এবং সেখানে কি বিষয়ে আলাপ হয়েছে তা জানাতে সেইবার্ট অস্বীকৃতি জানান।
রাশিয়ার এই বিরোধী নেতার ওপর বিষাক্ত নোভিচক গ্যাস প্রয়োগ করা হয়েছিল বলে জার্মানির দাবি। কিন্তু জার্মানিতে পাঠানোর আগে তাকে পরীক্ষাকারী রুশ চিকিৎসকরা তার শরীরে কোনো বিষক্রিয়া হওয়ার কথা অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।