নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জমি নিয়ে থানা আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেন আলা ও থানা ছাত্রদল নেতা রাকিবর রহমান সাগর পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রবিবার দুপুরে কদমতলী নয়াপাড়া বাগানবাড়ি এলাকায় আলী হোসেন আলার সন্ত্রাসী বাহিনী জমি দখল করতে গেলে সাগরের লোকজন বাঁধা প্রদান করলে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সাগর গ্রুপের ৪ জন গুরুতর।
আরও পড়ুনঃ শীতে করোনা ঠেকাতে নতুন পরিকল্পনা সাজাচ্ছে সরকার
আহত রাকিবুর রহমান সাগর জানায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক আলী হোসেন আলার সঙ্গে কদমতলী এলাকায় ২২ শতাংশ জমি নিয়ে তাদের বিরোধ চলছে। কাউন্সিলর আলা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এই জমি দখল করতে দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছে। তাই জমি রক্ষার্থে আমার মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ জজ আদালতে মামলা করেন। আদালত জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তার পরও গত শনিবার ওই জমিতে ড্রেজার লাগিয়ে বালু ভরাট কাজ শুরু করে কাউন্সিলরের লোকজন। খবর পেয়ে আমরা বাঁধা দিতে গেলে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়। তখন থানায় গিয়ে জিডি করি। পরে থানার ওসি তদন্ত ইসতিয়াক রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু ভরাট কাজ বন্ধ করে দেয়।
সাগরের অভিযোগ, পুলিশ বালু ভরাট কাজ বন্ধ করার পর রবিবার সকালে কাউন্সিলর আলার নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জমিতে আবার বালু ভরাট কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে বাঁধা প্রদান করতে গেলে কাউন্সিলরের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১০ জনকে মারধর করে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর আলী হোসেন আলার সঙ্গে কথা হলে তিনি জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাগরের লোকজন শুক্রবার রাতে গোপনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। আমি আমার ক্রয় করা জমিতে বালু ভরাট করতে গেলে সাগরের লোকজন হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মারামারি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারামারি হয়েছে। এ বিষয়ে কেহ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।