রিয়াজুল হক সাগর রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বৈশ্বিক মহামারী করোনায় সারাদেশ যখন বিপর্যন্ত তখন কাউনিয়া উপজেলায় জনসাধারনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জনস্বাস্থ্য বিভাগের দৃশ্যত কোন ভুমিকা দেখা যাচ্ছে না।
করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে জনস্বাস্থ্য বিভাগের ভাব দেখে মনে হয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ নিজেই এখন অসুস্থ।
সরেজমিনে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গোপালগঞ্জে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে গিয়ে দেখা গেছে এই দপ্তরের দায়িত্বে থাকা উপ সহকারী প্রকৌশলী শিউলি রিচিল নিয়মিত অফিসে আসেন না।
এমন কি জনগন কে স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে হাত ধোয়া ও মাস্ক পরিধানে এবং বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে এই দপ্তরের কোন ভুমিকা লক্ষনিয় নয়।
গ্রামের সাধারন মানুষ যত্রতত্র মল ত্যাগ করছে। করোনা ১ম ঢেউয়ের সময় ইউনিয়ন পরিষদে কিছু সাবান ও ব্লিচিং পাউডার দিয়েছে এবং ৩টি স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করে শেষ।
বর্তমানে হাত ধোয়ার স্থান গুলোতে পানি সরবরাহ ও সাবানের কোন ব্যবস্থা নেই। কাউনিয়া উপজেলার ৪টি উইনিয়ন তিস্তা নদী বেষ্টিত। বিগত পরিসংখ্যানে দেখে গেছে এই অঞ্চলটিতে আরসেনিকের প্রকপ বেশী।
নদী তীরর্তি গ্রাম গুলো বিশেষ করে চরাঞ্চলে সাধারন মানুষ আরসেনিক যুক্ত পনি পান করে পানি বাহিত নানা রোগে ভুগছে। ঢুসমারা চরের তাজরুল ইসলাম জানান গত ১বছরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের লোক শুধু বন্যার সময় একবার দেখেছি এরপর আর কখনও তাদের দেখা যায় নি।
বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান গত করোনায় তারা ২০টি সাবান ও ৪ কেজি ব্লিচিং পাউডার দিয়েছিল এবার তাদের চেহারা দেখা যায় নি। তবে তারা কয়েকটি টিউবয়েল দিয়েছে বিভিন্ন স্খানে।
এব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিউলি রিচিলের সাথে কথা বলে জানাগেছে তারা চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে গুরুত্ব পূর্ন জনবহুল স্থানের তালিকা নিয়ে উপরে পাঠিয়েছেন হাত ধোয়ার স্থান নির্মাণের জন্য।
এছারা ১৫টি বিদ্যালয়ে ওয়াস ব্লোকের কাজ হচ্ছে। বাড়িতে ছোট শিশু রেখে তিনি ওয়াস ক্লোকের কাজের তদারকি করছেন। উপজেলা মসজিদে ২০টি সাবান দিয়েছি। আমাদের কোন বরাদ্দ নেই। এ ছারা করোনার কারনে ১দিন পরপর অফিস করছেন।
নির্বাহী অফিসার তাহমিনা তারিন জানান আমি নতুন এসেছি, এখনও তাদের কোন কার্যক্রম আমার নজরে আসেনি। শুনেছি তারা কিছু বিদ্যালয়ে ওয়াস ব্লোকের কাজ করছে।
তবে আমি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবো তারা যেন করোনা কালে জনসেবায় কাজ করে।