অনলাইন ডেস্কঃ
বাসে আগুন দেয়া ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার অপর আসামি হাজী আরমান হোসেনকেও তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২৯ মার্চ) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় রাজধানীর হাজারিবাগ থানায় করা মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা হাজারীবাগ থানার পুলিশের উপপরিদর্শক সুদীপ কুমার বিশ্বাস। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ এ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার নিপুণ রায়কে ‘নাশকতার ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় র্যাব। এ বাহিনীর মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলছেন, আরমান নামে কেরানীগঞ্জের এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করার পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার বিকাল ৪টায় নিপুণ রায়কে তার রায়েরবাজারর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরিবারের বরাত দিয়ে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, নিপুণ রায়কে বিকালে তার রায়েরবাজারের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে গেছে ‘সাদা পোশাকের পুলিশ’। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা সে সময় এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
পরে সন্ধ্যায় র্যাবের পক্ষ থেকে নিপুণ রায়কে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়; বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম হরতাল ডাকার পর আরমানকে ‘বাসে আগুন দিতে’ বলেছিলেন নিপুণ।
আশিক বিল্লাহ বলেন, হেফাজত হরতাল ঘোষণার পর রাজধানীতে বাসে আগুনের ঘটনা ঘটলে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এর ভিত্তিতে আজ সকালে কেরানীগঞ্জ থেকে আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিপুণ রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিপুণ ও আরমানের কথিত ‘টেলি কথোপকথনের’ একটি অডিও ইন্টারনেটেও ছড়িয়েছে। সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে র্যাব কর্মকর্তা আশিক বিল্লাহ বলেন, আমরা এই অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুনেছি। তবে এটা আমাদের সূত্র নয়। আমরা গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করি।
নিপুণ রায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর মেয়ে ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ। রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করা নিপুণ রায় চৌধুরী পেশায় একজন আইনজীবী। রাজনৈতিক পরিবারে বিয়ে হওয়ায় তিনি প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে সক্রিয়। ইডেন কলেজের সাবেক এই শিক্ষার্থী ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয়।