নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার পালাবদলের কোনও সাংবিধানিক পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপিকে নির্বাচনমুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী কাদের বলেন, জনগণের রায় মেনে নেওয়ার সৎসাহস শেখ হাসিনার আছে। তাই এদিক ওদিক না ঘুরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। ষড়যন্ত্র করে গত এক যুগ ধরে কোনও লাভ হয়নি। বাকি সময়েও লাভ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
আন্দোলন শুরু হলে মানুষ রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়বে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা গণ-অভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন ৷ জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়া তো দূরের কথা, আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি নেতারাই ঝাঁপ বন্ধ করে ঘরে অবস্থান নেয়। হিন্দি সিরিয়াল দেখে আর জানালা দিয়ে উঁকিঝুঁকি মেরে পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্য করে। ১৩ বছর ধরে বিএনপির কথিত আন্দোলনের ডাক রাজপথে কোনও কম্পন তুলতে পারেনি। তাই জনগণ মনে করে এসব হাঁক-ডাক আষাঢ়ে গল্পের মতো ৷ ফেসবুক আর মিডিয়ায় যতটা গর্জে, বাস্তবে রাজপথে ততটা বর্ষে না।
আন্দোলনের জন্য জনসংশ্লিষ্ট ইস্যু প্রয়োজন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও গণমুখী রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলো ইস্যুর খরায় ভুগছে। এজন্যই এ মুহূর্তে দেশে বিএনপির কথিত আন্দোলনের অবজেক্টিভ কোনও অবস্থা নেই। করোনা মোকাবেলায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দেশের মানুষ এখন নিজের অবস্থার উন্নয়নে প্রাণান্ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় গণ-অভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্নে বিভোর বিএনপি। তারা ভাবছেন আন্দোলনের ডাক দিলেই মানুষ হুড়মুড় করে বেরিয়ে আসবে। প্রকৃতপক্ষে এসব তাদের আকাশকুসুম ভাবনা। বিএনপি নেতারা যা বলেন নিজেরা তা বিশ্বাস করেন বলে জনগণ মনে করে না।
কাদের বলেন, গত একযুগেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন এবং নির্বাচনে ব্যর্থতা থেকে বিএনপি কোনও শিক্ষা নিতে পারেনি। বিএনপি নেতারা সরকারের বিরোধিতাকে দেশবিরোধীতায় নিয়ে গেছেন। তারা ক্ষমতার জন্য রাষ্ট্রের ইমেজ নষ্ট করতেও ভ্রুক্ষেপ করছেন না। নিজেরা তো আন্দোলন করতে পারেন না, আবার পরাশ্রয়ী আন্দোলনে ভর করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন।
তিনি দাবি করেন, প্রয়োজনের সময় পাশে না দাঁড়ালে জনগণও কখনও কোনও রাজনৈতিক দলের আহ্বানে সাড়া দেয় না।