নির্বাচনের সময় জানালেন সিইসি
- আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ১২৭৩ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচনের সময় জানালেন সিইসি
স্টাফ রিপোর্টারঃ
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। আজ শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে সকালে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি বলেন, মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষ ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়ে পড়েছে। আগে ভোটের দিনে অনেকেই ভাবত—আমি না গেলেও কেউ না কেউ ভোট দিয়ে দেবে। এই মানসিকতা থেকে মানুষকে বের করে এনে ভোটকেন্দ্রমুখী করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
সিইসি উল্লেখ করেন, দৃশ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনের পর দেশে যে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে এমন পরিবেশ তৈরি করা হবে, যাতে ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারকেও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন সিইসি। তাঁর মতে, অস্ত্রের চেয়ে মারাত্মক হয়ে দাঁড়িয়েছে এআই। মানুষের ছবি ব্যবহার করে ভুয়া বক্তব্য বানানো হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না। অনেক সময় ভুয়া ভিডিও বা বক্তব্য যাচাই না করেই হাজারবার শেয়ার হয়ে যায়, যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে কমিশন কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
সিইসি বলেন, প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগেও পরিবর্তন আনা হবে। শুধুমাত্র শিক্ষকদের ওপর নির্ভর না করে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “দেশের মানুষের দিয়েই নির্বাচন হবে। যদি মানুষ বুঝতে পারে এখানে অনিয়ম নেই এবং আমরা সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, তাহলে জনগণ আমাদের পাশে থাকবে।”
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে নিজের ‘ইমানি দায়িত্ব’ উল্লেখ করে এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, “আমরা জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ। আইন-কানুন মেনে নিরপেক্ষভাবে কাজ করব। আমার সিদ্ধান্ত কারো পক্ষে বা বিপক্ষে যেতে পারে, কিন্তু তা হবে কেবল আইনের কারণে, ব্যক্তিগত কারণে নয়।”




















