বিপণনের প্রতিটি স্তরেই কারসাজির কারণে নিয়ন্ত্রণে আসছে না আলুর বাজার। এমন মত খোদ সরকারি প্রশাসনের। মোহাম্মদপুর পাইকারি আড়তে সাঁড়াশি অভিযানের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলছেন, হিমাগার, আড়ত কিংবা খুচরা, সব পর্যায়েই উপেক্ষিত সরকার নির্ধারিত দাম।
যদিও, জরিমানার মুখে পড়া ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হিমাগার মালিকদের নিয়ন্ত্রণ না করে এমন অভিযান অযৌক্তিক।
একের পর এক নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন। নিয়ন্ত্রণে গলদঘর্ম সরকার। স্টেকহোল্ডারদের কখনো চাপ, কখনো আলোচনায় বসে সমাধানের চেষ্টা। সম্ভাব্য সব কিছুই করেছে সরকার। কিন্তু তারপরও, আলুর বাজারে অকার্যকর সরকারি সিদ্ধান্ত।
আর তা নিয়ন্ত্রণেই এবার অভিযানে প্রশাসন। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট যাচাই করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মন্তব্য, সিন্ডিকেটের কারসাজি চলছে সবখানেই।
আরো পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জের গৃহবধূকে রাজধানীতে আটকে রেখে ধর্ষণ
র্যাব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, তারা যেখান থেকে আলু নিয়ে আসে, প্রত্যেকটাই কিন্তু আমরা নিয়ে নিচ্ছি। প্রত্যেকটা দোকানেই ১০-১৫ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।
যদিও, বড় অংকের আর্থিক জরিমানা মেনে নিতে পারছেন না আড়তদাররা। প্রশ্ন তুললেন অভিযানের যৌক্তিকতা নিয়েও।
চলমান অভিযানে বেশি দামে আলু বিক্রির অভিযোগে মোহাম্মদপুরে পাঁচটি আড়তকে ৫০ হাজার টাকা করে, ও একটি আড়তকে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ডের শাস্তি দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।