স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিতে সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় প্রতীক নৌকার সকল প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা যাতে কাজ করেন সে লক্ষ্যে সাংগঠনিকভাবে সবাইকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকা দিলাম কিন্তু এমপিদের আবার পছন্দ না হলে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। তারা নৌকার প্রার্থীদের হারায়; এবার যেন এমনটা না হয়’।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কাজী জাফরুল্লাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ। বিজ্ঞাপন
বৈঠক সূত্র জানায়, যাদের নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে তার বাইরে দলীয় কেউ যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যারা নৌকার পক্ষে কাজ করবে না তাদের বিষয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে তাদের বিষয়ে দল কঠোর সিদ্ধান্তেও যেতে পারে। এমনকি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল থেকে বহিষ্কারও করা হতে পারে।
সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই নেতা জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় নেত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, নৌকা যাকে দেওয়া হয়েছে তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে। এখানে কারও পছন্দের প্রার্থী নেই, সবাই দলের প্রার্থী। কাজেই দল যাকে দেবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। নৌকা প্রতীকের বাইরে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কোনো সংসদ সদস্য কাজ করলে বা দলীয় কোনো পর্যায়ের নেতা কাজ করলে তাদের নজরদারীতে এনে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
তারা বলেন, অতীতে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় অনেক ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদে যোগ্য নেতা থাকার পরেও নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেনি। তাই এবার কোনো আসনে যেন বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকে সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার গণভবনে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ৩টি জেলা পরিষদ, ৯টি উপজেলা পরিষদ ও ৬১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।