খাগড়াছড়িতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বিএনপির
স্টাফ রিপোর্টারঃ
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াদুদ ভূইয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, দলীয় নেতা কর্মীদের উপর হামলা-মামলা, নির্যাতন, নিপিড়নের কারণে অস্থির হয়ে পড়েছে সংগঠনটির নেতা/কর্মীরা। তারপরও চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটির কার্যক্রম।
নির্যাতনের ষ্টিম রোলার চালানোর প্রতিবাদে সর্ব শেষ গত বছরের ৭ জুন/২০২২ খাগড়াছড়ি জেলা ব্যাপী ২৪ ঘন্টার সড়ক অবরোধ পালন করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন।
কোনো ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে পুলিশ সাথে সাথে ব্যবস্থা নেবে উল্লেখ করলেও খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মুহাম্মদ রশিদ এর নেতৃত্বে অবরোধের আগের দিন বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা/কর্মীদের বাসা বাড়িতে হানা দেয়।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক মরিয়ম আক্তার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪ জুন/২০২২ জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়ার পৌর এলাকার কলাবাগানের বাস ভবনে তাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওয়াদুদ ভূইয়ার বাস ভবন বৈঠক ভাঙচুর, একটি গাড়ি ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। কিন্তু এ ঘটনায় পুলিশ বিএনপির পক্ষ থেকে মামলা না নিয়ে উল্টো আওয়ামী লীগের মামলা গ্রহণের প্রতিবাদে ও বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার জেলায় সড়ক অবরোধ পালিত হবে।
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিএনপির সড়ক অবরোধ চলাকালিন বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে হামলা, নেতাকর্মীদের আহত ও বাসাবাড়ির আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করার করার ঘটনা ঘটে।
অবরোধ চলাকালীন সময়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি ও মাটিরাঙ্গ পৌর যুবদলের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে।
হামলার বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য ছিলো, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা ও পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির আলাউদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে ৭ জুন/২০২২ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ৩০-৩৫ জনের সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় চেকবই, এটিএম কার্ড, ঘরে থাকা নগদ টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট এবং বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।