বাচা মরার লড়াই ছিল আজকে হায়দ্রাবাদের জন্য। জিতলে টিকে থাকবে টুর্নামেন্টে আর হারলেই বিদায়। ১২ পয়েন্ট নিয়ে ৫ নাম্বারে আছে তারা। তাই জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের সামনে। যদিও গত কালকের মত রান রেট, ওভারের হিসাব কিছুই ছিল না তাদের সামনে। জিতলে পরের রাউন্ড আর হারলেই বিদায়।
সহজ আর কঠিন এই সমীকরণ কে সামনে নিয়ে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল হায়দ্রাবাদ। ম্যাচে ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে হায়দ্রাবাদের কোয়ালিফাই হয়েছে।
হঠাৎই অসুস্থ ম্যারাডোনা, হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে
যদিও এই জয় মুম্বাই-ই তাদের জন্য একটু সহজ করে দিয়েছিল। গ্রুপের শীর্ষে থেকেই কোয়ালিফাই করেছিল মুম্বাই তাই এই ম্যাচ টা শুধুই নিয়ম রক্ষার ম্যাচ ছিল তাদের জন্য। তাই এই ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছিল দলের গুরুত্বপূর্ণ ৩ খেলোয়াড় বুমরাহ, বোল্ট এবং হার্দিক পান্ডিয়া কে। আর এতেই যেন সুবিধা পেয়েছে হায়দ্রাবাদ আর কপাল পুড়েছে কোলকাতা নাইট রাইডার্সের। আজকের ম্যাচে ইঞ্জুরি থেকে ফিরেছে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। দলের ৩ গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ারের বিশ্রাম ভুগিয়েছে তাদের। ফিনিশিং থেকে যেমন পর্যাপ্ত রান আসে নি তেমনি কোন উইকেটই পায় নি বোলারেরা।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেয় হায়দ্রাবাদ। সিদ্ধান্ত কে সঠিক প্রমাণ করতে সময় নেয় নি ফাস্ট বোলার সন্দীপ শর্মা।
স্লোয়ার বলে দলীয় ১২ রানের মাথায় ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান রোহিত শর্মা কে।
কামব্যাক টা ভালো হয়নি তার, মাত্র ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর ডি কক আর সূর্য কুমার যাদব পার্টনারশিপ করলে সেটা ভেঙে দেন সন্দীপ শর্মাই। তার বলে বোল্ড আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে ২৫ করেন তিনি। ৮০ রানে ছিল মাত্র ২ উইকেট, সেখান থেকে ২ রান যোগ করতে আরও ৩ উইকেট হারায় মুম্বাই। যাদব, তিওয়ারি, ক্রুনালের উইকেট হারিয়ে চাপে পরে মুম্বাই।
শেষ পর্যন্ত পোলার্ড আর ইশান কিশানের ব্যাটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করতে পারে মুম্বাই। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ করেন পোলার্ড। এছাড়া যাদবের ব্যাটে ৩৬ ও ইশান কিশানের ব্যাটে আসে ৩৩ রান।
সন্দীপ শর্মা নেন ৩ উইকেট, শাহবাজ নাদিম ও জ্যাসন হোল্ডার নেন ২ টি করে উইকেট।
জবাবে ১৫০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু আসে ক্যাপ্টেন ওয়ার্নার আর উইকেট কিপার ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাটে। পাওয়ার প্লে তে কোন উইকেট না হারিয়ে রান তোলে ৬৫।
ক্রুনাল পান্ডিয়ার ১২ তম ওভারে ফিফটি তুলে নেন ২ জনেই। শেষ পর্যন্ত কোন উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ জিতে হায়দ্রাবাদ,ওয়ার্নার ও ঋদ্ধিমান অপরাজিত থাকে ৮৫ ও ৫৮ রান করে এবং ৩য় হয়ে কোয়ালিফাই করে তারা। যার ফলে বিদায় নেয় কোলকাতা।
আগামি ৫ তারিখ কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে শীর্ষ ২ দল মুম্বাই ও দিল্লি। পরেরদিন এলিমিনেটর রাউন্ডে মুখোমুখি হবে ব্যাঙ্গালোর ও হায়দ্রাবাদ।