পলাশে সুদের টাকার জন্য যুবককে গলাকেটে হত্যা চেষ্টা, মা-ছেলে আটক
- আপডেট সময় : ০৮:২৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৭৩১ বার পড়া হয়েছে
পলাশে সুদের টাকার জন্য যুবককে গলাকেটে হত্যা চেষ্টা, মা-ছেলে আটক
হাজী জাহিদ/নরসিংদীর প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর পলাশে সুদের টাকা পরিশোধের কথা বলে জহিরুল ইসলাম (২৭) নামে এক যুবককে বাসায় ডেকে নিয়ে গলাকেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে উঠেছে। গতকাল রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত জহিরুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে।
আজ সোমবার সকালে এঘটনার সাথে জড়িত শেফালি বেগম (৩১) তার ছেলে রিয়াদ (১৯)কে আটক করেছে পলাশ থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পেচারচর গ্রামের মাসুূদ মিয়ার স্ত্রী শেফালি বেগম ও তার ছেলে রিয়াদ। তারা ডাংগা ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামে আল আমিনের বাড়িতে ভাড়া থাকে।
পুলিশ ও আহতের ভাই বাচ্চু মিয়া জানান, জহিরুল ইসলাম কৃষিকাজ ও ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাসুদ মিয়াকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সুদের উপর ধার দেন। প্রথমে প্রতি মাসে সুদের টাকা পরিশোধ করলেও হঠাৎ করে তিনি সুদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। পরে দীর্ঘদিন এ টাকা পরিশোধ না করায় সুদসহ ৫ লাখ টাকা জমা হয়।
এ টাকা পরিশোধ করার কথা বলে রোববার দিবাগত রাত ১ টার দিকে জহিরুল ইসলামকে মুঠোফোনে কল করে কাজিরচর গ্রামের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় মাসুদ মিয়া। পরে বাসার ভিতরে তাকে আটকে রেখে তিনি ও তার স্ত্রী শেফালি বেগম ও ছেলে রিয়াদসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জন তাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে মাসুূদ মিয়া জহিরুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে গুরুতর জখম করে।
এ ঘটনা আশে পাশের লোকজন জানতে পেরে গুরুতর আহত অবস্থায় জহিরুল ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করার পর প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
পলাশ থানার ওসি মোঃ মনির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় পলাশ থানায় আহত বাচ্চু মিয়ার ভাই ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। পরে অভিযুক্তদের মধ্যে শেফালি বেগম ও রিয়াদকে আটক করে নরসিংদী কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।