DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ২৩শে নভেম্বর ২০২৪
ঢাকাশনিবার ২৩শে নভেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাঁচবিবিতে খাল ভরাট হওয়ায় ফসল চাষে বিঘ্ন

Ellias Hossain
জুন ১৩, ২০২৩ ৭:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাঁচবিবিতে খাল ভরাট হওয়ায় ফসল চাষে বিঘ্ন

 

জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের নওগাঁ কাঁঠালি মাঠ থেকে হারাবতি নদীতে সংযুক্ত পানি নিস্কাশনের এক মাত্র খালটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে তিনটি উপজেলার সংযোগ স্থলের ১০ টি মৌজার প্রায় সহস্রাধিক কৃষক।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নওগাঁ কাঠালি গ্রামের পূর্ব দিকে বিহিগ্রাম মাঠ থেকে হারাবতি নদীর সঙ্গে সংযুক্ত প্রায় ৪ কিঃ মিঃ খালটির অধিকাংশ অংশ জুড়ে আগাছা, কচুরিপনা ও মাটি জমে ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বিহিগ্রাম, কাঁঠালী, শহরগাড়ী, নওগাঁ, লক্ষীকুল, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার করঞ্জি, চেচুরিয়া, ওহিপাড়া এবং গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ছাতিনচড়া ও দেওগ্রাম মৌজার প্রায় ৭শ একর জমির পানি নিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বর্ষাকালে মাঠের পানি নিস্কাশন না হওয়াই সেই পানি গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করে।

 

শুধু তাই নয়, সময় মত বর্ষার পানি নিস্কাশন না হওয়ার কারণে উক্ত মাঠ গুলোতে রবি শষ্য চাষ মৌসুমে অধিকাংশ জমিতে পানি জমে থাকে। একারণে কৃষকরা তাদের জমিতে সময় মত আলু ও সরিষা ও অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করতে না পারায় অনেক জমি অনাবাদি পড়ে থাকে।

 

নওগাঁ কাঠালী গ্রামের কৃষক হাকিম মিয়া ও শহিদ মিয়া বলেন, বর্ষা মৌসুমে আমাদের ১০টি মৌজার জমির পানি এই খালটি দিয়ে হারাবতি নদীতে নামে। কিন্তুু দীর্ঘদিনেও খালটি সংস্কার না হওয়াই আমাদের জমির পানি জমিতেই থাকে। ফলে আমরা আলু সরিষা লাগাতে পারি না।

 

কাঁঠালী গ্রামের কৃষক সবুজ হোসেন বলেন, এই এলাকাটিতে প্রায় আড়াই শ একর জমিতে আলু চাষ হয়। কিন্তুু বর্ষা মৌসুমের শেষে জমির পানি সময় মত নেমে না যাওয়ার কারণে আমরা জমিতে রবি শস্য লাগাতে পারি না। কৃষকের সুবিধায় খালটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে আওলাই ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী তৌহিদ বলেন, বিগত সময়ে চেয়ারম্যান থাকার সময় এই খালটি সংস্কারের জন্য ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ হয়েছিল। কিন্তুু খালটি খনন কালীন সময় মাটি গুলো রাখতে দু পাশে যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন সেই জায়গা খাল সংলগ্ন জমির মালিকরা না দেওয়ার কারণে সংস্কার সম্ভব হয়নি। সেকারণে বরাদ্দের অর্থ ফেরত যায়। তবে আমি আবারও নতুন করে খালটি খননের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে খালটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিদর্শণ করে গেছেন। আশা করছি আগামী বছর খনন কাজ শুরু হবে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৫৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:১৫
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০২
  • ১১:৪৭
  • ৩:৩৬
  • ৫:১৫
  • ৬:৩১
  • ৬:১৬