স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি করে পার পাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি অনেকটাই কমিয়ে আনা হয়েছে। আরো যেসব জায়গায় আছে সেগুলোকেও নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।
সুতরাং স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি করে আর কেউ পার পাবে না।
আরও পড়ুনঃ মসজিদে বিস্ফোরণ: তিতাসের ৮ কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশের সার্বিক প্রস্তুতি প্রসঙ্গে একটি বিশেষ সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি।
ভ্যাকসিন টিকা আমদানি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জানান, বিশ্বে বর্তমানে ৯ টি কোম্পানি টিকা আবিষ্কারের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অন্তত ৫ টি কোম্পানির সাথে বাংলাদেশের আলোচনা চলছে। চীনের সাইনোভ্যাক যেকোনো সময়ে ট্রায়াল শুরু করতে পারে। রাশিয়া বাংলাদেশেই তাদের ভ্যাকসিন উৎপাদন নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভারত, রাশিয়ার ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়েই কাজ চলছে।
ফ্রান্স ও বেলজিয়াম ইতোমধ্যেই তাদের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেছে। ভ্যাকসিন আগে পেতে সরকারের আর্থিকসহ সব রকম প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে বলেও জানান সচিব আব্দুল মান্নান।
বিশ্বের যেকোনো দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা শুরু হলে বাংলাদেশেও সেই ভ্যাকসিন একইসাথে প্রয়োগ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
ভ্যাকসিন আমদানি করলে প্রথম পর্যায়ে কি পরিমাণ আমদানি করা হতে পারে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সচিব জানান, প্রাথমিকভাবে অন্তত আড়াই থেকে তিন মিলিয়ন ভ্যাকসিন আমদানি করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এই ভ্যাকসিন প্রথমে ফ্রন্ট লাইনার ও বয়স্ক ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হবে। এরপর ধীরে ধীরে তা সাধারণ জনগণের শরীরেও প্রয়োগ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।