তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সাথে বিএনপি’র দহরম-মহরম বহু পুরনো।’
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দৈনিক আজাদী’র প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেকের ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি’ আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকরা ‘জেদ্দায় বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সাম্প্রতিক গোপন বৈঠক’ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি একথা বলেন।
শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টি, বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি
‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ক্রমাগতভাবে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ও গোয়েন্দাদের সাথে তাদের দহরম-মহরম৷ এবং সেটা যে বহু পুরনো, তার প্রমাণ হচ্ছে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সাথে বিএনপি’র মধ্যপ্রাচ্যের বৈঠক, যা প্রচন্ড নিন্দনীয়।’
অতীতের দিকে তাকিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বিএনপিকে ৫ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল। এটি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান আদালতে জবানবন্দিতে বলেছেন।
আর এখন নির্বাচন অনেক দেরি, আরো সাড়ে তিন বছর রয়েছে। এর মধ্যে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে।’
ড. হাছান বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে যখন করোনা ভাইরাসে পৃথিবী স্তব্ধ, মানুষ শঙ্কিত ভবিষ্যৎ নিয়ে, সেই সময়ে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের বৈঠক করে বেড়াচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই নিন্দনীয় বৈঠকই সেটির প্রকাশ।’
বিএনপি অতীতে ষড়যন্ত্রের পথ অবলম্বন করে যে এগুতে পারেনি, তা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে সক্ষম’ আশাপ্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেশের মানুষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পর পর রায় দিয়ে তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছে। তাই আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে মানুষের পাশে দাঁড়ান, এই ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না।
স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতির সভাপতি এস এম জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক লায়ন এম এ মালেক, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী এসময় গত সাড়ে ১১ বছরে দেশে গণমাধ্যমের প্রসারের চিত্র তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনাকে সমাদৃত করা ও গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশের নীতিতে বিশ্বাস করেন। দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. হাছান বলেন, স্বাধীনতার আগে থেকে গত ষাট বছর ধরে বাঙালি জাতীয়তাবোধকে ধারণ করে ও পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকাশিত হয়ে আসা দৈনিক আজাদী পত্রিকা সমাজ এবং রাষ্ট্রের ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখে।