ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাগলা মসজিদ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৪২২ বার পড়া হয়েছে

পাগলা মসজিদ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টারঃ

পাগলা মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটে নির্মাণ করা হবে আধুনিক ইসলামিক কমপ্লেক্স। এ কমপ্লেক্স নির্মাণে ৬০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। আজ রবিবার (১০ আগষ্ট) সকালে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, পাগলা মসজিদ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক একটি মসজিদ। এটি পাগলা মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটের অধীনে পরিচালিত হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এ মসজিদ পরিদর্শনে আসেন। এ মসজিদে আল্লাহর জন্য মানত, দান, সদকা করে থাকেন। বর্তমানে এ মসজিদের তহবিলে ৯০ কোটি টাকার বেশি জমা আছে। এ ফান্ড থেকে তুরস্কের স্থাপত্যশৈলিতে পাগলা মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটে আধুনিক ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। ১০ তলা বিশিষ্ট এ কমপ্লেক্সে মাদ্রাসা, এতিমখানা, লাইব্রেরি, মিলনায়তন ও অতিথিশালার ব্যবস্থা থাকবে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, প্রত্যহ এ মসজিদে মানুষ মানত, দান, সদকা হিসেবে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগীসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি দিয়ে থাকেন। এগুলো দিন শেষে নিলামে বিক্রয় করা হয়। এই নিলাম প্রক্রিয়াকে ঘিরে একটি চক্র সক্রিয় আছে, যার ফলে নায্যমূল্যে এগুলো বিক্রয় করা সম্ভব হয় না। এজন্য প্রাত্যহিক নিলাম প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি সাব-কমিটি গঠনের জন্য এস্টেট পরিচালনা কমিটিকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ড. খালিদ বলেন, পাগলা মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটের তহবিলে জমাকৃত অর্থ হতে যে মুনাফা পাওয়া যায় সেটা সমাজের অসহায়-দরিদ্র মানুষের সহায়তার জন্য ব্যয় করার জন্য কমিটিকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত দুস্থ মানুষ, গরীব শিক্ষার্থী, অনাথ-এতিম, বিধবাদের কল্যাণে মুনাফার টাকা ব্যয় করার সুযোগ আছে।

এসময় ওয়াকফ প্রশাসক নূর আলম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজাবে রহমত, জামিয়া এমদাদিয়ার মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদ ও কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে উপদেষ্টা নির্মাণাধীন কিশোরগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, পাগলা মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটটি ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। এ এস্টেটিতে সাড়ে পাঁচ একরের বেশি জমি রয়েছে। গত অর্থবছরে এই এস্টেট থেকে এক কোটি ৩৩ লাখ টাকার বেশি ওয়াকফ কন্ট্রিবিউশান জমা দেয়া হয়েছে।

পরে উপদেষ্টা কিশোরগঞ্জের আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদরাসার ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে ইসলামি অর্থনীতির গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। এ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশীদের সভাপতি এ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

ট্যাগস :

পাগলা মসজিদ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০৬:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

পাগলা মসজিদ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টারঃ

পাগলা মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটে নির্মাণ করা হবে আধুনিক ইসলামিক কমপ্লেক্স। এ কমপ্লেক্স নির্মাণে ৬০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। আজ রবিবার (১০ আগষ্ট) সকালে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, পাগলা মসজিদ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক একটি মসজিদ। এটি পাগলা মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটের অধীনে পরিচালিত হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এ মসজিদ পরিদর্শনে আসেন। এ মসজিদে আল্লাহর জন্য মানত, দান, সদকা করে থাকেন। বর্তমানে এ মসজিদের তহবিলে ৯০ কোটি টাকার বেশি জমা আছে। এ ফান্ড থেকে তুরস্কের স্থাপত্যশৈলিতে পাগলা মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটে আধুনিক ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। ১০ তলা বিশিষ্ট এ কমপ্লেক্সে মাদ্রাসা, এতিমখানা, লাইব্রেরি, মিলনায়তন ও অতিথিশালার ব্যবস্থা থাকবে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, প্রত্যহ এ মসজিদে মানুষ মানত, দান, সদকা হিসেবে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগীসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি দিয়ে থাকেন। এগুলো দিন শেষে নিলামে বিক্রয় করা হয়। এই নিলাম প্রক্রিয়াকে ঘিরে একটি চক্র সক্রিয় আছে, যার ফলে নায্যমূল্যে এগুলো বিক্রয় করা সম্ভব হয় না। এজন্য প্রাত্যহিক নিলাম প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি সাব-কমিটি গঠনের জন্য এস্টেট পরিচালনা কমিটিকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ড. খালিদ বলেন, পাগলা মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটের তহবিলে জমাকৃত অর্থ হতে যে মুনাফা পাওয়া যায় সেটা সমাজের অসহায়-দরিদ্র মানুষের সহায়তার জন্য ব্যয় করার জন্য কমিটিকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত দুস্থ মানুষ, গরীব শিক্ষার্থী, অনাথ-এতিম, বিধবাদের কল্যাণে মুনাফার টাকা ব্যয় করার সুযোগ আছে।

এসময় ওয়াকফ প্রশাসক নূর আলম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজাবে রহমত, জামিয়া এমদাদিয়ার মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদ ও কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে উপদেষ্টা নির্মাণাধীন কিশোরগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, পাগলা মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটটি ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। এ এস্টেটিতে সাড়ে পাঁচ একরের বেশি জমি রয়েছে। গত অর্থবছরে এই এস্টেট থেকে এক কোটি ৩৩ লাখ টাকার বেশি ওয়াকফ কন্ট্রিবিউশান জমা দেয়া হয়েছে।

পরে উপদেষ্টা কিশোরগঞ্জের আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদরাসার ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে ইসলামি অর্থনীতির গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। এ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশীদের সভাপতি এ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।