পানছড়িতে ইউপিডিএফ সংগঠককে হত্যা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউনাট্রড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট্র (ইউপিডিএফ) এর সংগঠক মিটন চাকমাকে হত্যা করা হয়েছে। আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঘটনা ঘটে।
ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, আজ দুপুর ১২টার সময় খাগড়াছড়ির পানছড়িতে জেএসএস সন্তু গ্রুপের একটি সশস্ত্র দল ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে ইউপিডিএফ সংগঠক মিটন চাকমা নিহত হন।
ইউপিডিএফ সংগঠক মিটন চাকমাকে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
মিটন চাকমা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন (২০২০-২০২১ সেশন) এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০২২ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফে যোগ দেন। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন উদোলবাগান গ্রামের সুশান্ত চাকমার ছেলে।
বিবৃতিতে অংগ্য মারমা বলেন, আজ মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে সন্তু গ্রুপের এ হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত। এ হামলার মাধ্যমে তারা নিজেদেরকে আবার খুনি বাহিনী হিসেবে প্রমাণ করলো।
অংগ্য মারমা সন্তু গ্রুপের এমন সংঘাত নীতির বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শাসকগোষ্ঠির একটি বিশেষ মহল সন্তু গ্রুপকে ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জিইয়ে রেখে জুম্ম ধ্বংসের নীলনক্সা বাস্তবায়ন করছে। আর এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে সন্তু গ্রুপ ইউপিডিএফের ওপর সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। সন্তু গ্রুপের এই অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, মিটন চাকমার মতো একজন উচ্চ শিক্ষিত নিবেদিত প্রাণ কর্মীকে হত্যা করে সন্তু গ্রুপ কাকে লাভবান করেছে? যারা জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করছে তাদের কেন সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা বেছে বেছে বেছে খুন করছে? জনগণের কাছে একদিন তাদেরকে এর জবাব দিতে হবে।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা অবিলম্বে পানছড়িতে অবস্থানরত জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ ও মিটন চাকমা হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের আটক ও শাস্তির দাবি জানান।