খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও তার স্ত্রীসহ ৬৩ জনের নামে হয়রানী মূলক মামলা
- আপডেট সময় : ০৯:৫৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১০৩২ বার পড়া হয়েছে
গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও তার স্ত্রীসহ ৬৩ জনের নামে হয়রানী মূলক মামলা
মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙায় গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বালাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র কেন্দ্রীয় কমিটির সহকর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ওয়াদুদ ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী জাকিয়া জিনাত বিথীসহ ৬৩ জনের নামে হয়রানী মূলক মামলা দায়ার করা হয়েছে। মাটিরাঙা থানার এএসআই মোঃ আব্দুল করিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কার্যকলাপ করে সম্পত্তি ক্ষতি সাধন, পুলিশের কর্তব্যে বাঁধা ও পুলিশ সদস্যদের আহত করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ আনা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অবরোধ চলাকালে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিতে মাটিরাঙা উপজেলার বাইল্যাছড়ির যৌথ খামার এলাকায় ৫০/৬০ জনের একটি দল রাস্তায় গাড়ীর গতিরোধ করে লাঠিপেটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বেশ কিছু যানবাহন ভাংচুর করে।
ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জোর তৎপরতা চালায় পুলিশ। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করে। পুলিশি পাহারায় আটকে পড়া গাড়িগুলোকে গন্তব্যে নিয়ে আসা হয়েছে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে।
এদিকে বিএনপির অবরোধ চলাকালে বুধবার রাতে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় ৮ বিএনপির কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবী পুলিশের। আটককৃতরা হলেন, মোঃ শরীফ, রমজান আলী, সাদ্দাম হোসেন, শিহাব উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোস্তফা কামাল, হানিফুল ইসলাম ও মনির হোসেন।
পুলিশের দাবী বৃহস্পতিবার দিনভর অভিযান চালিয়ে মাটিরাঙা উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আটককৃতদের খাগড়াছড়ি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মাটিরাঙা থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার বাইল্যাছড়ি এলাকায় যাত্রীবাহি বাসসহ কয়েকটি পরিবহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আহত হয় এক নারী যাত্রী। ঘটনার পর থেকে ঐ এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ঘটনার সাথে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে ও অপর আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
তবে আকটকৃরা গঠনার সাথে নিজেদের সম্পকৃততা অস্বীকার করেছে।