পানছড়িতে ব্রাশ ফায়ারে নিহত-৪, অপহৃত-৩ “ফলোআপ”
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রসীতপন্থি ইউপিডিএফের ৪জন নিহত হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সাড়ে ৫ টা) পুলিশ লাশ উদ্ধারে কাজ করছে।
গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত পনে ১০টার দিকে পানছড়ি উপজেলার ৬ নং অনিল মেম্বারপাড়া ওয়ার্ড এলাকার অতুল চন্দ্র চাকমার বাড়িতে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের গোলাগুলিতে এঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে অর্ধশত রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়।
নিহতরা হলো, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা, পিসিপির সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিনসা ত্রিপুরা।
অপহৃতদের মধ্যে রয়েছে, ইউপিডিএফ এর সংগঠক নিতী দত্ত চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা ও ইউপিডিএফ এর সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, ইউপিডিএফ এর সদস্য মিলন ত্রিপুরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, বাড়িতে ঢুকে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে নব্য মুখোশ আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে হত্যার বিচার দাবি করেছে প্রসীত নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ।
তবে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পানছড়ি থানার ওসি মোঃ শফিউল আজম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ ঘঠনা স্থলে গেছে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হরতাল, সড়ক অবরোধ, বাজার বয়কট ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। আজ প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত করেছে সংগঠনটি।
হত্যাকারীদের আটক ও শাস্তির দাবিতে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনগুলো কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।
কর্মসূচীর রয়েছেঃ-১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর প্রতিবাদ সমাবেশ ও শোক সভা ও বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি/২৪ পর্যন্ত পানছড়ি বাজার বয়কট। (প্রয়োজনে বয়কটের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।) ১৭ ডিসেম্বর পানছড়ি উপজেলাব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট। ১৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলাব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ।