ঢাকা ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন নেভাতে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা Logo পানছড়ির মধ্যনগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ও অনুভূতিহীন কর্তৃপক্ষ Logo চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাঁচ কলেজে পাস করেনি কেউ! Logo গরমছড়িতে জমি দখল নিয়ে তাণ্ডব, ফটিকছড়িতে বসতবাড়িতে হামলা! Logo চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের Logo এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের সংখ্যায় বিপর্যয় — মাত্র ৩৪৫ প্রতিষ্ঠান Logo কিশোরগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাট Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর Logo শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো।

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনী-২

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১১৬৬ বার পড়া হয়েছে

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনী-২

মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে, পাহাড়ি-বাঙালিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পাড়া, মৌজা, ইউনিয়ন, উপজেলা এবং সবশেষে জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন, জনগোষ্ঠীর স্বকীয়তা ধারণ ও চর্চার উদ্দেশ্যে পাহাড়ি-বাঙালিদের সম্পৃক্ততায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

দুর্গম পার্বত্য এলাকার জনগণের সুষ্ঠু বিনোদনের জন্য সেনাবাহিনী কর্তৃক বিগত বছর গুলোতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি উন্মুক্ত চলচ্চিত্রও প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর সার্বিক অর্থায়নে সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাহাড়ি-বাঙালি ছেলে/মেয়েদের বিনোদন মূলক মনোবৃত্তির চর্চায় আগ্রহী করে তোলার জন্য সেনাবাহিনী কার্যকর ভূমিকা রেখেই চলেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে স্কুলের স্বল্পতা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধার কারণেও অনেকেই শিক্ষা গ্রহণ কার্যক্রমের বাইরে থেকে যায়। সার্বিক পরিস্থিতি হতে উত্তরণের মাধ্যম হিসেবে সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা এবং অর্থায়নে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়েই অনেক ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যমের স্কুল (দিবা ও নৈশ) পরিচালনা করছে।

সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, বই বিতরণ, শিক্ষাসামগ্রী প্রদান, ছাত্র-ছাত্রী পরিবহন, আর্থিক অনুদান, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন শিক্ষাসামগ্রী, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ড্রেস ও খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ করে সর্বদা স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

সেনাবাহিনী প্রতিবছরই শিক্ষাকে সর্বাগ্রে নিয়ে আসা, সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ মানসম্মত ও কর্মঠ শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরার জন্য শিক্ষা সেমিনারের আয়োজন করে।

এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ও জ্ঞানের নানামুখী চর্চায় সুযোগ্য মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার জন্য আন্তঃস্কুল বিতর্ক, বানান ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সেনাবাহিনী। সেনা রিজিয়ন/জোন কর্তৃক পরিচালিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাহাড়ি-বাঙালি প্রশিক্ষণার্থী কম্পিউটার প্রশিক্ষণে দক্ষতা অর্জন করেছে, যা তাদের কর্মসংস্থান বা চাকরি পেতে সহায়তা করছে।

সর্বোপরি, পিছিয়ে পড়া জনপদের মানব উন্নয়ন প্রক্রিয়া সমুন্নত করা এবং সকলের নিকট সর্বোচ্চ সুবিধা পৌঁছে দেওয়াও সেনাবাহিনী কর্তৃক সম্পাদিত কার্যসমূহের অন্তর্নিহিত লক্ষ্য।

পার্বত্য দুর্গম এলাকাগুলোতে চিকিৎসার অভাবে দিনাতিপাত করা মানুষের পাশে সব সময়ই দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রতিবছর নিয়মিতভাবে পার্বত্য তিন জেলায় বিনামূল্যে চক্ষুশিবির পরিচালনা করে পার্বত্য এলাকার সুবিধাবঞ্চিত বয়োবৃদ্ধ পাহাড়ি ও বাঙালির চোখের ছানি অপারেশনসহ বিভিন্ন ধরনের চক্ষুসেবা প্রদান করা হয়।

ট্যাগস :

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনী-২

আপডেট সময় : ১১:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনী-২

মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে, পাহাড়ি-বাঙালিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পাড়া, মৌজা, ইউনিয়ন, উপজেলা এবং সবশেষে জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন, জনগোষ্ঠীর স্বকীয়তা ধারণ ও চর্চার উদ্দেশ্যে পাহাড়ি-বাঙালিদের সম্পৃক্ততায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

দুর্গম পার্বত্য এলাকার জনগণের সুষ্ঠু বিনোদনের জন্য সেনাবাহিনী কর্তৃক বিগত বছর গুলোতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি উন্মুক্ত চলচ্চিত্রও প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর সার্বিক অর্থায়নে সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাহাড়ি-বাঙালি ছেলে/মেয়েদের বিনোদন মূলক মনোবৃত্তির চর্চায় আগ্রহী করে তোলার জন্য সেনাবাহিনী কার্যকর ভূমিকা রেখেই চলেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে স্কুলের স্বল্পতা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধার কারণেও অনেকেই শিক্ষা গ্রহণ কার্যক্রমের বাইরে থেকে যায়। সার্বিক পরিস্থিতি হতে উত্তরণের মাধ্যম হিসেবে সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা এবং অর্থায়নে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়েই অনেক ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যমের স্কুল (দিবা ও নৈশ) পরিচালনা করছে।

সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, বই বিতরণ, শিক্ষাসামগ্রী প্রদান, ছাত্র-ছাত্রী পরিবহন, আর্থিক অনুদান, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন শিক্ষাসামগ্রী, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ড্রেস ও খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ করে সর্বদা স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

সেনাবাহিনী প্রতিবছরই শিক্ষাকে সর্বাগ্রে নিয়ে আসা, সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ মানসম্মত ও কর্মঠ শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরার জন্য শিক্ষা সেমিনারের আয়োজন করে।

এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ও জ্ঞানের নানামুখী চর্চায় সুযোগ্য মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার জন্য আন্তঃস্কুল বিতর্ক, বানান ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সেনাবাহিনী। সেনা রিজিয়ন/জোন কর্তৃক পরিচালিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাহাড়ি-বাঙালি প্রশিক্ষণার্থী কম্পিউটার প্রশিক্ষণে দক্ষতা অর্জন করেছে, যা তাদের কর্মসংস্থান বা চাকরি পেতে সহায়তা করছে।

সর্বোপরি, পিছিয়ে পড়া জনপদের মানব উন্নয়ন প্রক্রিয়া সমুন্নত করা এবং সকলের নিকট সর্বোচ্চ সুবিধা পৌঁছে দেওয়াও সেনাবাহিনী কর্তৃক সম্পাদিত কার্যসমূহের অন্তর্নিহিত লক্ষ্য।

পার্বত্য দুর্গম এলাকাগুলোতে চিকিৎসার অভাবে দিনাতিপাত করা মানুষের পাশে সব সময়ই দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রতিবছর নিয়মিতভাবে পার্বত্য তিন জেলায় বিনামূল্যে চক্ষুশিবির পরিচালনা করে পার্বত্য এলাকার সুবিধাবঞ্চিত বয়োবৃদ্ধ পাহাড়ি ও বাঙালির চোখের ছানি অপারেশনসহ বিভিন্ন ধরনের চক্ষুসেবা প্রদান করা হয়।