করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে অনেকেই বাড়িতে বসে কাজ করেছেন। প্রায় অভ্যাসই হয়ে গেছে। এরপর আবার যখন প্রতিদিনের স্বাভাবিক অফিস শুরু তখন সেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা বসে কাজ করতে হচ্ছে।
এছাড়াও মোবাইল ব্যবহার বা সংবাদপত্র পড়ার সময়ও চেয়ারে বসেই পড়ছেন। এমনকি বাচ্চাদের অনলাইন ক্লাসও হচ্ছে চেয়ারে বসেই। ভেবে দেখুন, দিনের বেশিরভাগ সময়ই বসে কাজ করছেন আপনি। এতে আপনার পিঠে বা শিরদাঁড়ে এক সময় যন্ত্রনা শুরু হয়। প্রথমে এটা গুরুত্বহীন মনে হলেও পড়ে তা আপনাকে সবচেয়ে বেশি ভোগায়।
স্বাস্থ্যবিদদের পরামর্শ, একটানা অনেকক্ষণ বসে কাজ করবেন না। অআর যদি তা করতেই হয় তবে নিজের বসার স্থানটি পরিবর্তন করে নিন। মানে নিজের ঘরে বা অফিসে যেখানেই হোক বসার চেয়ারটি পাল্টে নিতে পারেন। দেখুন আরামদায়ক হয়। সেই সঙ্গে আপনার পিঠেরও খেয়াল রাখবে।
কোন চেয়ার বেছে নিতে পারেন তা নিয়েই জানাব আজকের আয়োজনে।
রিভলভিং চেয়ার
রিভলভিং চেয়ার বেছে নিতে পারেন। এই চেয়ার মূলত লেদারের কাপড় দিয়ে বানানো থাকে। বসার জন্য এটি নিজের দরকার মতো ঠিক করে নেওয়া যায়। চাকা থাকার কারণে এদিক-ওদিক মুভ করতেও সুবিধা হয়। বসার ভঙ্গির সঙ্গে এই চেয়ারটিও নিজের মতো পরিচালনা করুন। আরাম পাবেন।
গ্যালেন চেয়ার
অফিসের কাজে দীর্ঘ সময় বসে কাজ করতে এই চেয়ার উপযুক্ত। এটি আরামদায়ক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করলেও খুব একটা অস্বস্তি লাগবে না।
মেশ অফিস চেয়ার
কর্পোরেট অফিসে সাধারণত এই চেয়ার ব্যবহার করা হয়। পিঠকে আরাম দিতে পারে এটি।
চেষ্ট চেয়ার
নরম ফোম দিয়ে বানানো হয় এই চেয়ার। তাই বসে কাজ করায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। পাশাপাশি হাত রাখতেও সুবিধে হবে।
কাঠের চেয়ার
কাঠের চেয়ার তো সেই যুগ যুগ ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে। এই চেয়ারে বসলে মেরুদণ্ড সোজা থাকে এতে ব্যথা অনেকটাই উপশম হয়। তবে কাঠের চেয়ারের বসার স্থানে গদি লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে আরাম পাবেন।
বিশেষ সতর্কতা
কোনও চেয়ারেই একটানা বসে থাকা ঠিক নয়। ঘড়ি ধরে অআধ ঘণ্টা পর পর কয়েক মিনিট হাটুন। এতে পিঠের ওপর অতিরিক্ত চাপও পড়বে না। আর যন্ত্রণা থেকেও রেহাই পাবেন।