কবর থেকে তোলা হচ্ছে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে মারা যাওয়া যুবককে লাশ। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে বুধবার জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার।
রবিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রায়হান। নিহত রায়হান নগরীর নেহারীপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। ৬টা ৪০ মিনিটে সময় গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহী। মারা যাওয়ার পর রায়হানের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তার হাতের নখও উপড়ানো ছিল। এ ঘটনার পর পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করে রায়হানকে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে।
গাইবান্ধায় ভুয়া চিকিৎসক আটক ৯০ হাজার টাকা জরিমানা
রায়হানের মৃত্যুর জন্য দায়িত্বহীনতার দায়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে গত রবিবার বাদ এশা নগরীর আখালিয়া জামে মসজিদে জানাজা হয় রায়হানের। পরে আখালিয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে রায়হান উদ্দিনের লাশের পুনঃময়না তদন্তের আবেদন করা হয়। বুধবার আদালত পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেন।
গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে রায়হান হত্যা মামলা তদন্তের জন্য পুলিশের বিশেষ শাখা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।