ঢাকা ০৩:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়াতে টার্গেট সেনাবাহিনী Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক

পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা আসবেন না : তোফায়েল

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
  • / ১০৭৩ বার পড়া হয়েছে

পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা আসবেন না। জাতীয় সংসদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় নেতা নয়, ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা। জাতির পিতা সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তের ঋণ শোধ করে গেছেন। আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তাঁর প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানানো হবে।

আজ মঙ্গলবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সরকারী দল আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ, শাহাজান খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, মীর্জা আজম ও নূরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমাম।

নামজারি ও নিবন্ধন কার্যক্রম সমন্বয়ে হয়রানি কমবে : ভূমিসচিব

আলোচনায় অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় নেতা নয়, ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা। জাতির পিতা সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তের ঋণ শোধ করে গেছেন। জন্মশতবার্ষিকীতে বলতে চাই ‘জাতির পিতা, এই জাতি কোনোদিন আপনাকে ভুলবে না’। ‘আপনার স্বপ্নের বাংলাদেশ’ আপনার কন্যা গড়ে তুলছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি সম্মানিত রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বের মহান নেতা।

ডাকসুর তৎকালীন ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের মত-পথের ভিন্নতা ছিল। তারপরও আমরা এক হতে পেরেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে আমরা ১১ দফায় (সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের) অন্তর্ভুক্ত করেছি।

তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই’ এটা আমরা লিখতে পারিনি। কেউ কেউ আপত্তি করেছিলেন। এজন্য আমরা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার চেয়েছিলাম। তবে আমরা মনে করেছিলাম, এই দাবি এক দফায় চলে আসবে। ঠিকই পল্টনের জনসভার পর আন্দোলন এক দফায় পরিণত হলো।

৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি। আমি ওইদিন রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি ঘোষণা করেছি। তাঁর স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি। মতিউরের মৃত্যুর পর সত্যিকার গণঅভ্যুত্থান শুরু হলো। মানুষ রাজপথে নেমে এলো। মানুষ সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করলো। আমরা ৯ ফেব্রুয়ারি পল্টনে জনসভার ডাক দিলাম। সেই জনসভার পর ছাত্র আন্দোলন চলে এলো এক দফায়।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ-২০২০) উপলক্ষে গত রবিবার জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে এই অধিবেশনে গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী-বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। আগামী বৃহস্পতিবার এই আলোচনা সমাপ্ত হবে।

পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা আসবেন না : তোফায়েল

আপডেট সময় : ০৯:৫০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০

পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা আসবেন না। জাতীয় সংসদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় নেতা নয়, ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা। জাতির পিতা সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তের ঋণ শোধ করে গেছেন। আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তাঁর প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানানো হবে।

আজ মঙ্গলবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সরকারী দল আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ, শাহাজান খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, মীর্জা আজম ও নূরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমাম।

নামজারি ও নিবন্ধন কার্যক্রম সমন্বয়ে হয়রানি কমবে : ভূমিসচিব

আলোচনায় অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় নেতা নয়, ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা। জাতির পিতা সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তের ঋণ শোধ করে গেছেন। জন্মশতবার্ষিকীতে বলতে চাই ‘জাতির পিতা, এই জাতি কোনোদিন আপনাকে ভুলবে না’। ‘আপনার স্বপ্নের বাংলাদেশ’ আপনার কন্যা গড়ে তুলছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি সম্মানিত রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বের মহান নেতা।

ডাকসুর তৎকালীন ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের মত-পথের ভিন্নতা ছিল। তারপরও আমরা এক হতে পেরেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে আমরা ১১ দফায় (সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের) অন্তর্ভুক্ত করেছি।

তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই’ এটা আমরা লিখতে পারিনি। কেউ কেউ আপত্তি করেছিলেন। এজন্য আমরা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার চেয়েছিলাম। তবে আমরা মনে করেছিলাম, এই দাবি এক দফায় চলে আসবে। ঠিকই পল্টনের জনসভার পর আন্দোলন এক দফায় পরিণত হলো।

৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি। আমি ওইদিন রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি ঘোষণা করেছি। তাঁর স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি। মতিউরের মৃত্যুর পর সত্যিকার গণঅভ্যুত্থান শুরু হলো। মানুষ রাজপথে নেমে এলো। মানুষ সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করলো। আমরা ৯ ফেব্রুয়ারি পল্টনে জনসভার ডাক দিলাম। সেই জনসভার পর ছাত্র আন্দোলন চলে এলো এক দফায়।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ-২০২০) উপলক্ষে গত রবিবার জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে এই অধিবেশনে গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী-বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। আগামী বৃহস্পতিবার এই আলোচনা সমাপ্ত হবে।