পোশাক শিল্পে ক্রয়াদেশ কমেছে ১০ শতাংশ
আস্থা ডেস্কঃ
আগস্ট-সেপ্টেম্বরে শ্রমিক অসন্তোষে বন্ধ ছিল অনেক পোশাক কারখানা। তার সাথে যুক্ত হয়েছে গ্যাস সংকট। এতে উৎপাদন কমে যাওয়ায় ১০ শতাংশ ক্রয়াদেশ কমেছে বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, উৎপাদন কমলেও বড় পরিসরে বাজার হারানোর শঙ্কা নেই।
দেশে দৈনিক ৩শ ৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে মিলছে ২শ ৮০ কোটি। এর মধ্যে গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন হচ্ছে ২শ কোটি ঘনফুট গ্যাস।
আর আমদানি করা এলএনজি থেকে পাওয়া যাচ্ছে বাকি ৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। এর মধ্যে শিল্পকারখানায় ১শ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। এতে ব্যাহত হচ্ছে বস্ত্রশিল্পের উৎপাদন।
বর্তমানে গ্যাসের চাপ কম থাকায় অনেক কারখানায় সক্ষমতার প্রায় ২০ শতাংশ উৎপাদন কমে গেছে বলে দাবি করছেন উদ্যোক্তারা। সময়মতো রপ্তানি না হলে ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখা কঠিন হবে বলছে উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা এখন উভয় সংকটের মধ্যে আছি। একদিকে অর্ডার আগের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে। অন্যদিকে যেসব অর্ডার আছে সেগুলোও গ্যাস সংকটের কারণে সঠিক সময়ে এবং সঠিকভাবে উৎপাদন করা যাচ্ছে না। ফলে বায়ারদের কাছে বাংলাদেশ আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এসব কারণে ১০ শতাংশ ক্রয়াদেশও কমেছে।
শাশা ডেনিমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের সমাধান, জ্বালানি সংকট কমিয়ে যদি পুরো ফ্লো নিয়ে কাজ করা যায় তাহলে যে ক্ষতি হয়ে গেছে তা পুষিয়ে ওঠা সম্ভব। এ ছাড়া সামনে যে অর্ডার ফ্লো রয়েছে এ সমস্যাগুলো সমাধান করা গেলে দ্রুতই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, উৎপাদন ব্যাহত হলে ক্ষতির মুখে পড়বেন উদ্যোক্তারা। তবে বড় পরিসরে বাজার হারানোর শঙ্কা নেই।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহজনিত ব্যাঘাত সৃষ্টির কারণে বায়াররা হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য অর্ডারগুলো অন্য দেশে শিফট করতে পারেন। তবে লং রানে সমস্যা হবে না। কারণ বাংলাদেশের মতো এত বড় সাপ্লাইবেজ নিকটবর্তী কোনো দেশেরই নেই।
উদ্যোক্তারা আরও বলছেন, পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশ থাকলেও সময়মতো রপ্তনি করা গেলে অতীতের ক্ষতি পোষানো সম্ভব হবে।