ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ মিয়ার শেষ বিদায়ে হাজার মানুষের ঢল Logo ঝালকাঠিতে এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেনের গণসংযোগ Logo ঈশ্বরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক মহড়া Logo রাজাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন র‌্যালি, আলোচনা সভা ও মহড়া অনুষ্ঠিত Logo ঈশ্বরগঞ্জ পুলিশের অভিযানে গরু চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার, উদ্ধার ৩টি গরু Logo বড়ইতলা স্মৃতিসৌধে নেমে এসেছে নীরবতা, হারিয়ে গেছে শ্রদ্ধা! Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। Logo তরুণ কৃষি-উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Logo কিশোরগঞ্জে গরু চুরি নিয়ে দুগ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০ Logo আঠারবাড়িতে তারেক রহমানের বিবিসির সাক্ষাৎকার জনগনের মাঝে প্রচার

প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রভাব বিস্তারে একসাথে কাজ করছে চীন ও ভারত

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৭:৩২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১০৬৫ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রভাব বিস্তারে একসাথে কাজ করছে চীন ও ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রভাব বিস্তারে একসাথে কাজ করছে দুই পরাশক্তি চীন ও ভারত। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন আরেক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র বিক্ষোভে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসেন। এরপর থেকে গত ১৪ মাসে চীনা কর্মকর্তারা বাংলাদেশি রাজনীতিবিদদের সাথে কমপক্ষে সাতটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। পাকিস্তানে পরিসংখ্যাটি আরো বড়। চীনা কর্মকর্তারা এই বছর পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সাথে ২২টি উচ্চ পর্যায়েরে বৈঠক করেছেন।

এর মাঝে চিরশত্রু চীন ও ভারত নিজের মাঝে বৈঠক করেছে। যুক্করাষ্ট্রকে ঠেকাতে শত্রুতা ভূলে তাদের এ বৈঠক। তাহলে তো মাসিক ওই দেশের সাথে স্থাপিত হবে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ কূটনৈতিক তৎপরতার পেছনে রয়েছে গভীর কৌশল। বৈশ্বিক রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে যুক্তরাষ্ট্রকে ঠেকাতে মরিয়া চীন ও ভারত।

ইরান, আফগানীস্থান, চীন ও ভারতের আশপাশের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কার্যক্রম ও প্রভাব বিস্তারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। স্টিমসন সেন্টারের চীন ও দক্ষিণ এশিয়া প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো ড্যানিয়েল মার্কি ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ইরান, আফগানীস্থান, চীন ও ভারতের আশপাশের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রভাব বিস্তার করাকে সঠিক বা ন্যায্য হিসেবেই বিবেচনা করে। তাই ভারত ও চীন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে একমত হয়েছে।

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের গবেষক অমিত রঞ্জন বলেন, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নয়াদিল্লির কেবল তিনটি ছোট দেশ – শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং ভুটানের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ উভয় দেশেই চীনের উপস্থিতি রয়েছে। তাই উভয় দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে।

অমিত রঞ্জনের মতে, দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে চীনের অনেক কূটনৈতিক কৌশলের মধ্যে, বাংলাদেশে বেইজিংয়ের প্রভাব রয়েছে। ইউনূস সরকার ইসলামপন্থীদের প্রতি খুব নমনীয় এবং চীনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কারণে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্যগুলো সীমান্ত উত্তেজনার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মার্চ মাসে বেইজিং সফরের সময়, ড. ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে ‘স্থলবেষ্টিত’ এবং সমুদ্রে প্রবেশাধিকারের জন্য বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল বলে বর্ণনা করেন। তার এই বক্তব্য ভারতের এই ভয়কে আরো বাড়িয়ে তোলে। প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে চীনা অর্থনীতির সম্প্রসারণের একটি অংশ হয়ে উঠতে পারে। এজন্য উভয় দেশ নিজেদের মধ্য ঘনিষ্টতা বৃদ্ধি করেছে।

ট্যাগস :

প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রভাব বিস্তারে একসাথে কাজ করছে চীন ও ভারত

আপডেট সময় : ০৭:৩২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রভাব বিস্তারে একসাথে কাজ করছে চীন ও ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রভাব বিস্তারে একসাথে কাজ করছে দুই পরাশক্তি চীন ও ভারত। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন আরেক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র বিক্ষোভে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসেন। এরপর থেকে গত ১৪ মাসে চীনা কর্মকর্তারা বাংলাদেশি রাজনীতিবিদদের সাথে কমপক্ষে সাতটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। পাকিস্তানে পরিসংখ্যাটি আরো বড়। চীনা কর্মকর্তারা এই বছর পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সাথে ২২টি উচ্চ পর্যায়েরে বৈঠক করেছেন।

এর মাঝে চিরশত্রু চীন ও ভারত নিজের মাঝে বৈঠক করেছে। যুক্করাষ্ট্রকে ঠেকাতে শত্রুতা ভূলে তাদের এ বৈঠক। তাহলে তো মাসিক ওই দেশের সাথে স্থাপিত হবে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ কূটনৈতিক তৎপরতার পেছনে রয়েছে গভীর কৌশল। বৈশ্বিক রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে যুক্তরাষ্ট্রকে ঠেকাতে মরিয়া চীন ও ভারত।

ইরান, আফগানীস্থান, চীন ও ভারতের আশপাশের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কার্যক্রম ও প্রভাব বিস্তারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। স্টিমসন সেন্টারের চীন ও দক্ষিণ এশিয়া প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো ড্যানিয়েল মার্কি ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ইরান, আফগানীস্থান, চীন ও ভারতের আশপাশের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রভাব বিস্তার করাকে সঠিক বা ন্যায্য হিসেবেই বিবেচনা করে। তাই ভারত ও চীন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে একমত হয়েছে।

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের গবেষক অমিত রঞ্জন বলেন, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নয়াদিল্লির কেবল তিনটি ছোট দেশ – শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং ভুটানের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ উভয় দেশেই চীনের উপস্থিতি রয়েছে। তাই উভয় দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে।

অমিত রঞ্জনের মতে, দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে চীনের অনেক কূটনৈতিক কৌশলের মধ্যে, বাংলাদেশে বেইজিংয়ের প্রভাব রয়েছে। ইউনূস সরকার ইসলামপন্থীদের প্রতি খুব নমনীয় এবং চীনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কারণে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্যগুলো সীমান্ত উত্তেজনার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মার্চ মাসে বেইজিং সফরের সময়, ড. ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে ‘স্থলবেষ্টিত’ এবং সমুদ্রে প্রবেশাধিকারের জন্য বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল বলে বর্ণনা করেন। তার এই বক্তব্য ভারতের এই ভয়কে আরো বাড়িয়ে তোলে। প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে চীনা অর্থনীতির সম্প্রসারণের একটি অংশ হয়ে উঠতে পারে। এজন্য উভয় দেশ নিজেদের মধ্য ঘনিষ্টতা বৃদ্ধি করেছে।