ভিসা, আকামা ও ফ্লাইটের টিকিটসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দেশে অবস্থান করা প্রবাসী কর্মীদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ জন্য খুব শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, দেশে অবস্থান করা সৌদিসহ মধ্যেপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী কর্মীদের কার কী সমস্যা তার সঠিক তথ্য মন্ত্রণালয়ে নেই। গত কয়েকদিন ধরে সৌদি প্রবাসীরা ভিসা ও আকামার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে সৌদি ফিরে যেতে টিকিটের জন্য রাজপথে নামে। করোনার কারণে আন্তর্জাতিক রুটে সীমিত সংখ্যক ফ্লাইট চলাচল করায় চাহিদা অনুপাতে এয়ার টিকিটের সঙ্কট থাকায় এয়ারলাইন্সগুলো টিকিটের দাম বাড়িয়ে দেয়।
২০৪১ নাগাদ কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ শতাংশে উন্নীতের অঙ্গীকার
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভিসা ও আকামার মেয়াদ যাদের ফুরিয়ে গেছে তাদের নানা জনের নানান সমস্যা। তাই কার কী সমস্যা তা জানতেই নাম তালিকাভুক্তির গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। প্রত্যেকের সমস্যা লিপিবদ্ধের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালানো হবে। এছাড়া বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকিটের মূল্য হ্রাসের উদ্যোগ নেয়া হবে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মধ্যপ্রাচ্যসহ ছয় দেশের রাষ্টদূতের সঙ্গে প্রবাস ফেরতদের সমস্যা নিয়ে বৈঠকে বসেন। আলোচনা শেষে সৌদি রুটে সপ্তাহে ২০টি ফ্লাইট চলাচলের ঘোষণা আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৌদি প্রবাসীদের ভিসা ও আকামার সময়সীমা বৃদ্ধিই এখন বড় সমস্যা। করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন দেশ এতদিন স্বয়ংক্রীয়ভাবে মেয়াদ বৃদ্ধি করলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ২৪ দিন ভিসা ও আকামার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভিসা ও আকামার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য ঢাকার সৌদি দূতাবাস তাদের মনোনীত এজেন্টদের মধ্যেমে ভিসা/আকামার মেয়াদ বৃদ্ধি করবে বলে ঘোষণা দেয়।
তবে সৌদি প্রবাসী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভিসা বা আকামার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সৌদির প্রতিষ্ঠান মালিকের (কফিল) কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো অধিকাংশ প্রবাসী কর্মীর সঙ্গে কফিলের সরাসরি যোগাযোগ নেই। তারা কফিলকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বার্ষিক পরিশোধ করে কর্মক্ষেত্র বদল করে অন্যত্র চাকরি বা ব্যবসা করে। ফলে মূল মালিকের কাছ থেকে অনুমতি আনা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এসব সমস্যা রাষ্ট্রের মাধ্যমে সমাধানের জন্য তালিকা তৈরি হচ্ছে।