মাদারীপুরে ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের উপস্থিতিতে দুই লাখ টাকায় মিমাংসা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেই সালিশ মিমাংসায় সদর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম উপস্থিত থাকায় তাকে শনিবার সকালে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যদিকে ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে তদন্ত চলাকালীন দুই চিকিৎসকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে মাদারীপুরের ডাসার থানার আটিপাড়া গ্রামের রুনা আক্তারকে ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। এ সময় চিকিৎকের অবহেলায় ওই প্রসূতি মারা যায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সদর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির, শেয়ার মালিক জাকির দর্জি, স্থানীয় এক নেতাসহ প্রভাবশালী একটি মহল দুই লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিমাংসা করেন। এ ঘটনায় শনিবার সকালে জহুরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়।
বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা দলগতভাবে অপকর্ম করেছে
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর সার্কেল এএসপি আবির হোসেন। অন্যদিকে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ফায়সাল কাবীর ও ডা. ফারজানা আফিয়া মেঘলাকে তদন্তকালীন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এএসপি আবির হোসেন জানান, মিমাংসার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে স্পষ্টভাবে জানি না। এই মিমাংসার সময় এসআই জহুরুল ইসলাম উপস্থিত থাকার বিষয়টিও জেনেছি। পরে এসপি তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছেন। এর বাইরে তেমন কিছু জানি না।
ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমরা মৃতের পরিবারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি মিমাংসা করেছি। এখন তাদের আমাদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই। তবে চিকিৎসায় ভুল ছিল কি-না, তা খতিয়ে দেখার জন্যে ওই সময়ে কর্তব্যরত দুই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, মিমাংসার বিষয় আমি জানি না। তবে ওই হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়নের বিষয় অনলাইনে জমা দেয়া আছে। আর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত করে দেখবো।