রাজধানী ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে গরু চুরি করে কম দামে বিক্রি করা হতো রাজধানীর মাংস বিক্রেতাদের কাছে। গরু চোরদের থাকার জন্য ঢাকায় বাসা ভাড়াও করে রাখে অসাধু বিক্রেতারা। এমন অভিযোগে কসাইসহ গরু চোরচক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। পিকআপ ভ্যানে করে আরিচা থেকে চুরি করে আনা গরু নিয়ে ঢাকায় প্রবেশের সময় পল্লবীর সিরামিক পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশির সময় দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে গাড়িটি। এ সময় চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা। জব্দ করা হয় একটি ২টি গাড়ি ও চুরি হওয়া গরুটি।
মাংস বিক্রেতারা অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে চোরদের থেকে গরু কিনে জবাই করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও খুচরা বিক্রি করত। গ্রেপ্তারকৃতরা বলেন, যে গরু হাটে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সে গরু আমরা ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করি। তাই লাভের জন্য এমন করি। আমি মোট ৩টি গরু এনেছি।
গ্রেপ্তার ৪ জনের দেয়া তথ্যমতে, রাজধানীর পল্লবী ও মিরপুরের পাইকপাড়াসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে খোরশেদ, আলমগীর ও চোর চক্রের মূল হোতা জুয়েলসহ বাকি ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি চুরি হওয়া গরুর ৭০ কেজি মাংসও জব্দ করা হয়।
ডিএমপি’র পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, কসাইরা বাসা ভাড়া নিয়ে এই চোর চক্রকে আশ্রয় দিতেন। এরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। চুরি শেষে বাসায় থাকতেন। আবার চুরির সময় বাইরে যেতেন। প্রাইভেটকারে রেকি করে গরু চুরি করত তারা।
রাজধানীর বাইরে গরু চোরচক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানায় পুলিশ।