প্রাইম ব্যাংকের কর্মকর্তাদের গ্রাহক পেটানোর অভিযোগ।
সৌদি প্রবাসী নুরুল আলম গত ১১ অক্টোবর ২০১১ ব্যাংকিং নিয়ম-নীতি পরিপালন করে প্রাইম ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে এবং নিয়মিত তার মাসিক কিস্তি প্রদান করে। কৃষ্টি প্রধান কাল ২০১১ থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ঠিক ঠাকই চলছিলো তার কিস্তি প্রদান হঠাৎ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস এর কারণে প্রবাসী নুরুল আলমের ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়।
সেইসাথে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায় তার আকামার। আর সেটাই যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। এমতাবস্থায় প্রাইম ব্যাংকের কিস্তি আদায়ের জন্য নানাভাবে চাপ দিতে থাকে নুর আলম এর উপর তবে সেই চাপটা একটু বেশি দিয়ে ফেলেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তারা সন্ত্রাসী কায়দায় গালিগালাজ সহ চক্রবৃদ্ধি সুদের জন্য বাসায় এসে মারধর করবে বলেও হুমকি দেয়। এই সকল হুমকির অডিও ক্লিপ ও প্রমাণ স্বরূপ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন ভুক্তভোগী নুরুল আলম।
যেমনটা একথা তেমনটাই কাজ করলেন ব্যাংক কর্মকর্তারা ফোন করে ঋণ পরিশোধের সমাধানের জন্য বাংলাদেশকে আসতে বলেন নুরুল আলম কে এরপর মতিঝিল শাখার হেড অফিসে ডেকে নেন তাকে সেই সাথে তার সঙ্গে চায় তার ছেলে ও তার স্ত্রী বিভিন্নভাবে হেনস্থা করতে থাকে তাদেরকে একপর্যায়ে অপমানজনক কথা বললে প্রতিবাদ করেন নুরুল আলমের ছেলে।
আর তাতেই কাল হলো নুর আলম ও তার পরিবারের জন্য, অতর্কিত ভাবে বেশ কয়েকজন কিল-ঘুষি চড় লাথি মারতে শুরু করে ব্যাংক কর্মকর্তা বাধন চন্দ্র দে, আব্দুর রহমান, অলি আহমেদ, মশিউর, জুয়েল শিকদার, বয়স্ক দারোয়ানসহ প্রায় ৩০-৩২ জন। একপর্যায়ে মারামারির সময় আহত হন নুরুল আলম, ছিড়ে যায় তার পরনের শার্ট, হারিয়ে যায় পকেটে থাকা ৯৫০০ টাকা।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে জ্ঞান হারান নুর আলম এক পর্যায়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিলে ব্যাংক কর্মকর্তার নিজেরাই ভয় পেয়ে যান, এবং তাকে জ্ঞান ফেরানোর প্রচেষ্টা চালায় অতঃপর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে তিনি দ্বারস্থ হন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট, অভিযোগ করেন ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। দিশেহারা নুর আলম বিচারের আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন সর্বত্র দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি করছেন উপর মহলের কাছে।