বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের ফকিরহাটর সদর ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূনিতির অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য পাগলা শ্যামনগর গ্রামের মৃত ওমর আলীর পুত্র বর্তমান ইউপি সদস্য মাসুদ রানা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একের পর এক দূর্নিতি সহ অপকর্মে লিপ্ত হয়।
তারই ধারাবাহিকতা সে একই এলাকার মৃত হুমায়ুন মোল্লার কাছ থেকে রুপনগর পার্ক লিজ নিয়ে সেখানে গড়ে তুলেছে মাদক এবং দেহ ব্যাবসার আস্তানা। পার্কটির চার পাশে দেয়াল থাকায় উক্ত রুপনগর পার্কটিতে বসে মাদক সেবন সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মেয়েদের ভাড়া করে এনে মিনি পতিতা পল্লীতে পরিনত করেছে পার্কটিকে।
তাছাড়া মাদক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী পাগলা শ্যামনগর গ্রামের সিদ্দিক এর পুত্র ঈনামুল কে দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান রুপনগর পার্কে ডুকিয়ে তাকে দিয়েই ফকিরহাটে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে । তাছাড়াও পাগল উত্তরপাড়া গ্রামের পিয়ারীর স্বামী ঢাকার চিহৃত মাদক ব্যাবসায়ী শামীম এর সাথে তার বাড়িতে বসে মাদক সেবন সহ কেনা বেচা করে আসছেন তিনি।
এলাকার লোক তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান ইউপি সদস্য মাসুদ রানা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই অতি মাত্রাই হেরোইন আসক্ত ছিল এমন কি হিরোইন বিক্রয় এর সময় পুলিশের হাতে আটক হন একাধিকবার।
একই ওয়ার্ড়ের শহিদুল মোল্লা অভিযোগ করে বলেন আমার নামে জেলে কার্ড থাকা সত্ত্বেও আমার নামে আসা ৮০ কেজি চাউল মাসুদ মেম্বার মেরে খেয়েছে। পাগল উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত সালাম শেখের অসহায় স্ত্রী নাসিমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন মাসুদ মেম্বার শালিশ বিচার এর নাম সহ বিভিন্ন কৌশলে কয়েক দফায় আমার অনেক টাকা মেরে খেয়েছে।
এছাড়াও এলাকায় একাধিক অপকর্ম,দূনিতি, মাদক ব্যাবসার গডফাদার,সহ মিনি পতিতালয়ের ব্যাবসার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মাসুদ রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি সব অস্বীকার করেন।
এলাকার সচেতন মহলের দাবি অতি দ্রুত অপরাধ চক্রের মুল হোতা ইউপি সদস্য মাসুদ রানাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক তাহলে একদিকে ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড হবে মাদক,দূর্নিতি ও পতিতালয় মুক্ত,শান্তিতে বসবাস করতে পারবে এলাকায় জনগণ এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।