ফকিরহাট থেকে কুমিল্লায় মাদকের বড় চালান নিয়ে আটক-৩
বাগেরহাটের ফকিরহাটের একটা মাদক ব্যাবসায়ী চক্র দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেট কারে করে মাদকের বড় বড় চালান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাগেরহাটের ফকিরহাটে এনে বিক্রি করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতপরশুদিন রাতে পালেরহাটের প্রাইভেট কার মালিক মাহফুজুর রহমান (সুমন) এর প্রাইভেট কার এবং ড্রাইভার লালচন্দ্রপুর গ্রামের রবিউল(২২) কে দিয়ে কুমিল্লা পাঠিয়েছিল মাদকের একটি বড় চালান ফকিরহাট আনার জন্য।
কিন্তু বিধি বাম ধরা খেলেন তারা।উল্লেখ্য কুমিল্লা থেকে ২০ কেজি গাঁজা নিয়ে রওনা দেওয়ার পর লাকসামপুর চেকপোষ্টে পৌঁছালে পুলিশ গাড়ি তল্লাশি করে গাড়ির ভিতরে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।গাড়িতে থাকা দুজন যাত্রী ড্রাইভার এবং প্রাইভেট কারটি আটক করে থানাতে নিয়ে যায় পুলিশ।
এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাগেরহাটাটের ফকিরহাটে এনে বিক্রি করে আসছে।এ বিষয়ে মাহফুজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কুমিল্লাতে গেছিলাম সেখানে যেয়ে আটক ব্যাক্তিদের কাছ থেকে জানতে পারলাম আট্রাকী গ্রামের চাইনা অফিসের পিছনের ইসরাফীল এর ছেলে ড্রাইভার মুকিত সহ কয়েকজন এই মাদক আনার সাথে জড়িত।
তিনি আরও বলেন আমি গাড়ি পাঠালে মাদ্রাসাঘাট থেকে মাহিন্দ্র ড্রাইভার রিপন উঠে কুমিল্লা যায় সেখান থেকে একজন অসুস্থ যাত্রী উঠিয়ে পুনরায় ফকিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে লাকসামে এসে গাড়ি চেক করে পুলিশ ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। মাফুজ কোন ভাবেই সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয় নাই।
এর আগেও যাত্রাপুরের রফিক ড্রাইভার কুমিল্লা থেকে কয়েকটি চালান ফকিরহাটে এনেছে বলে জানান ধৃত মাদক ব্যাবসায়ীরা। এলাকার সচেতন মহলের দাবি অতি দ্রুত এই মাহফুজ এবং মুকিত কে আইনের আওতায় এনে এদের সাথে কে কে জড়িত তাদের সকলকে গ্রেফতার করা হোক।তাহলেই ফকিরহাটকে মাদক মুক্ত করা সম্ভব হবে।