ফখরুল মিথ্যা কথা বলেন-ওবায়দুল কাদের
ইব্রাহীম খলিল/নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ফখরুল মিথ্যা কথা বলেন। পিটার হাসের সঙ্গে কথা বলে এখন মিথ্যাচার করেন। মিথ্যাচার গুজব এদের রাজনীতি। দুর্নীতি আর মানুষ খুন, এটাই বিএনপির আসল গুণ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরিয়া ভূত হইয়া গিয়াছে। এই ভূত মাথা থেকে নামান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মড়া লাশ আজিমপুর গোরস্তানে চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে। ওই চোখ আর কোনো দিন মেলবে না। দুই সেলফিতে আপনাদের ঘুম হারাম। জ্বালারে জ্বালা, অন্তর জ্বালা। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলে অন্তর জ্বালা।
আজ শুক্রবার ( ১৩ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাচপুরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা হবে এখন কোয়ার্টার ফাইনাল। তারপরে সেমিফাইনাল। জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে। বিএনপির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চোরের বিরুদ্ধে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খেলা হবে। মির্জা ফখরুল মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় গিয়া হাজির। বাইর হইয়া মিডিয়াকে বলেন, এই সরকারের সময় শেষ। আজরাইল নাকি শেখ হাসিনার মাথার পাশে। সে নাকি আওয়ামী লীগের জান কবজ করতে চায়। ফখরুলের সময় শেষ। আজরাইল ফখরুলের পিছে পিছে ঘোরে। আজরাইল বিএনপিকে গলা টিপে ধরবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত বাদলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান নিখিল, আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু প্রমুখ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে ছাড় নেই। তাদের হাতে আর সময় নেই। অক্টোবরে ৩৬ দিন সময় দিয়েছি। ৩৬ দিন পার হলে দেখব কার গায়ে কত বল। ফখরুল নাকি ঢাকা অচল করে দিবেন। নারায়ণগঞ্জের জনতাই যথেষ্ট বিএনপিকে প্রতিহত করার জন্য। জনগণ বিএনপিকে অচল করবে। আন্দোলন করবা, আগুন নিয়ে আসবা, হাত পুড়িয়ে দিব। লাঠি নিয়ে আসবা, হাত ভেঙে দিব। তোমাদের সঙ্গে আর কম্প্রোমাইজ না। তোমরা কম্প্রোমাইজের লোক না। তোমরা আমাদের শত্রু ভাবো, আমরা কেন বন্ধু ভাবব? আমরা তাদের প্রতিপক্ষ ভাবতাম, তারা ভাবে শত্রু। শত্রুর সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ আমরা করতে পারি না।