ফরিদপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক ছাত্রলীগ নেতাকে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. মাসুম মিয়া (২৯)। তিনি ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের তাম্বুলখানা এলাকার বাসিন্দা কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
রোববার ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
মো. মাসুম মিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি ২০১৮-২০১৯ সময়কালে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে। বর্তমানে তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শহীদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ নেতা মো. মাসুম মিয়াকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ হামলার মামলায় এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার মাসুমকে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লাবাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১৮ মে সুবল চন্দ্র সাহা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
৭ জুন রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে এ মামলার আসামী হিসেবে ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (পরে বহিষ্কৃত) সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (পরে বহিষ্কৃত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।