বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে ঢাকায় এসেছেন তার বাবা। রায়ের কপি হাতে পেয়েই শনিবার রাতে ঢাকা পথে রওনা হন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।
রোববার রায়ের কপি নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্নার সঙ্গে তিনি দেখা করতে গেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মিন্নির বাবা রায়ের কপি হাতে পেয়েছেন। কপি পাওয়ার পরপরই তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে বরগুনা ছেড়েছেন।
বিশ্বে করোনা মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১০ লাখ ৩৭ হাজার
রিফাত হত্যা মামলার ৪২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় শনিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ করা হয়। মিন্নির বাবাই আদালত থেকে এ রায়ের কপি প্রথম হাতে পান বলে জানা গেছে।
রিফাত হত্যা মামলায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। প্রাপ্তবয়স্ক বাকি চার আসামি পেয়েছে বেকসুর খালাস।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।
এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।
উল্লেখ্য, রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু আসামি।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং বন্ড গ্রুপ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ২ জুলাই মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হন।