সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘পুলিশের নির্যাতনে’ নিহত রায়হান আহমদের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব আহমেদ ও মেজবাহ উদ্দিনের উপস্থিতিতে আখালিয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান থেকে মরদেহ তোলেন পিবিআই সদস্যরা। মরদেহ তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পুলিশের পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা মাহিদুল হাসান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান।
এর আগে বুধবার রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুনরায় ময়নাতদন্তের অনুমতি দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম।
মেট্রোরেল প্রকল্পে করোনা সামলাতে হাসপাতাল স্থাপন
এ ব্যাপারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আমরা রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছি। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।
তিনি জানান, হেফাজতে মৃত্যু আইনে মামলা হলে নিহত ব্যক্তির ময়না তদন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের উপস্থিতিতে করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ছাড়াই ময়নাতদন্ত করে রায়হানকে কবর দেওয়া হয়।
এ কারণে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আবেদন করেছিলেন মামলার সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা কতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাতেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতেই রায়হান আহমদের মরদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেন জেলা প্রশাসক।
লাশ উত্তোলনের সময় পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান উপস্থিত ছিলেন।