ফুলবাড়ীয়ায় জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ
- আপডেট সময় : ০৮:০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৮৯০ বার পড়া হয়েছে
ফুলবাড়ীয়ায় জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ
মোঃ হাবিব/ ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়ীয়া) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী, জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মু. কামরুল হাসান মিলনের নাম পরিবর্তন করে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা ঐক্যবদ্ধ জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে।
আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চব্বিশে চত্ত্বরে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ভালুকজান গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে মাও. আব্দুস সাত্তার এর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন মুঞ্জু, কবির হোসেন, মোঃ ইউসুফ প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন স্যার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। সকলস্তরের মানুষের ভালবাসা অর্জন করেছেন। দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের সময় এখনও আছে। আমরা দলীয় হাইকমান্ডের কাছে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা স্যার পাশে ছিলাম, আগামী দিনেও আমরা পাশে থাকব। এ সময় তারা দলীয় নেতাকর্মীদের হতাশ না হতে অনুরোধ করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। তার মধ্যে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন ২১ হাজার ৮শ ৩০ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডভোকেট মুসলিম উদ্দিন ২৩ হাজার ৬শ ৯ভোট পেয়ে ২য় হয়েছিলেন এবং বিএনপি’র প্রার্থী খন্দকার আমিরুল ইসলাম হীরা ধানের শীষ প্রতীকে ২৩ হাজার ২৩ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছিলেন।
১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। তার মধ্যে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন ১৭ হাজার ৩শ ৭৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন, বিএনপি’র প্রার্থী শামসুদ্দিন আহমদ ধানের শীষ প্রতীকে ৩২ হাজার ১শ ৩৮ভোট পেয়ে ২য় হয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডভোকেট মুসলিম উদ্দিন ৪৭ হাজার ৮শ ২৭ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছিলেন।
২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। তার মধ্যে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন ৪৭ হাজার ৩শ ৭৫ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডভোকেট মুসলিম উদ্দিন ৫২ হাজার ৬শ ২১ভোট পেয়ে ২য় হয়েছিলেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুদ্দিন আহমদ ৬৫ হাজার ৫শ ৭৩ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছিলেন।




















