ফ্রান্স ও ইতালির মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকায় রেকর্ড বৃষ্টিপাতের পর ভয়াবহ বন্যায় অন্তত দুইজন প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও নিখোঁজ কমপক্ষে দুই ডজন মানুষ। শনিবার দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার রাতে ফ্রান্সের দক্ষিণপশ্চিম এবং ইতালির উত্তর সীমান্ত এলাকা দিয়ে শক্তিশালী একটি ঝড় বয়ে যায়। এর পরপরই সীমান্তের দুই পাশে প্রবল বন্যা দেখা দেয়।
এতে বহু ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। সেতু ধ্বংস ও রাস্তা বন্ধ হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
ইতালির সিভিল প্রোটেকশন এজেন্সি জানিয়েছে, মাত্র ২৪ ঘণ্টায় দেশটির উত্তরে পিয়েডমন্ট অঞ্চলে ৬৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ১৯৫৮ সালের পর সেখানে এত বৃষ্টিপাত আর দেখা যায়নি।
রাজধানীতে ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা
ফরাসি সীমান্তের কাছে গবাদিপশুর দেখভাল করতে গিয়ে বন্যার পানিতে ভেসে গিয়েছিলেন দুই ভাই। একজন একটি গাছ ধরে কোনওমতে প্রাণরক্ষা করেছেন। দ্বিতীয়জনকে সীমান্তের অপরপাশে খোঁজা হচ্ছে।
ভার্সেলি এলাকায় গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। সেখানে ক্যাম্পিং করতে যাওয়া ১১ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।
সীমান্তের বিপরীত পাশে দক্ষিণপশ্চিম ফ্রান্সে ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে প্রায় পুরো বছরের গড়ের সমান বৃষ্টিপাত হয়েছে।
স্থানীয় দমকল বাহিনী জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে অন্তত আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন উদ্ধারকারীও রয়েছেন। দায়িত্বপালনকালে রাস্তা ভেঙে গাড়ি ভেসে যাওয়ার পর থেকে তাদের আর সন্ধান মেলেনি।
নাইসের মেয়র জানিয়েছেন, শহরের চারপাশে রাস্তাঘাট এবং অন্তত ১০০টি বাড়ি বন্যায় ভেসে গেছে।
রাতভর অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন বাড়ি থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।