ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশই নানা পণ্য আমদানি-রফতানি করে থাকে। যেখানে বাণিজ্য হয় প্রতি বছর বিপুল অঙ্কের। তবে করোনার কারণে তার একটি বড় প্রভাব পড়েছে এবার বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। করোনার সংকট কাটিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
ফ্রান্সে গার্মেন্টস, হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা থাকায় বাংলাদেশ এগুলো রফতানি করে আসছে। বিপরীতে ফ্রান্স এদেশে রফতানি করে রাসায়নিক, সুগন্ধি, প্রসাধনসামগ্রী, ফার্মাসিটিক্যালস ও কৃষিভিত্তিক পণ্য।
সেই সপ্তদশ শতকে প্রথম বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসেন ফরাসিরা। কালের পরিক্রমায় বর্তমানে ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। বিশ্ব মহামারি করোনার কারণে দু’দেশের বাণিজ্যে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ফ্রান্সে বাংলাদেশের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হলেও অর্জিত হয় ১ দশমিক শূন্য সাত বিলিয়ন। এখনই পদক্ষেপ না নিলে যা দীর্ঘমেয়াদ প্রভাব পড়তে পারে বলে শঙ্কা স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নামে ইমেইলে ভুয়া চিঠি
করোনার সংকট কাটিয়ে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ আরও বাড়াতে কি কাজ করা হচ্ছে বা হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, যে অর্ডারগুলো বাতিল হয়েছিল তা পুনরুদ্ধারে কাজ করছে দূতাবাস।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়ে দু’দেশের বাণিজ্য নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা করা হবে।
২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রান্স সফরকালে স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশে ফরাসি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। করোনার সংকট কাটিয়ে ওঠার পর দেশে বিনিয়োগের যে প্রতিবন্ধকতা তা দূর করলে ফ্রান্সের সঙ্গে আরও বেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।