নুরনবী রহমান, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: মোবাইল নম্বরের সুত্র ধরেই বগুড়ায় ৮ম শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের একমাত্র আসামীকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই অসাধ্য সাধন করেছে তারা। গ্রেফতার হওয়া যুবক হলো বগুড়া সদরের কাহলা গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে আমিনুর (২৭)।
রবিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা সদর উপজেলার দাড়িয়াল গ্রামের বাসিন্দা।
ডিসেম্বর থেকেই ধাপে ধাপে পৌরসভা নির্বাচন: সিইসি
মামলা ও শিক্ষার্থীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ২৪ অক্টোবর থেকে অপরিচিত নম্বরে অপরিচিত একজনের সাথে কথা বলে অষ্টম শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী। তিনদিনের মাথায় ছেলেটা মেয়েটার সাথে দেখা করতে চায়। ছেলেটা তার নাম বলে সাগর। ২৭ তারিখ সন্ধ্যার পর থেকে কথিত সাগর বারবার ফোন দিতে থাকে মেয়েটিকে। মাদ্রাসা ছাত্রী একপর্যায়ে বাসা থেকে বের হতে রাজি হয়। মেয়েটাকে নানা কৌশলে তাকে
বাড়ী থেকে বের করে আনে ঐ সাগর। রাত সাড়ে বারটার দিকে প্রেমিকের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্য নিয়ে মেয়েটা বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। কথিত সাগর পেশায় সিএনজি চালক, সে মেয়েটিকে তার নিজের সিএনজিতে উঠিয়ে দাড়িয়াল গ্রাম থেকে পার্শ্ববর্তি একটা জঙ্গলের ভিতরে ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। ধর্ষনের শিকার ছাত্রী বাড়িতে এসে সব কথা মা-বাবাকে জানায়।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, রবিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে মেয়েটা,তার মা,বাবা এবং মামা সহ তাকে বিষয়টি অবগত করেন। একমাত্র মোবাইল নম্বর ছাড়া তারা কিছুই বলতে পারেনি। সেই নম্বরের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনে বগুড়া শহরের একজন সত্তর বছর বয়সীর নাম। তাকে খুঁজে পাওয়াও সম্ভব না হলেও শুধুমাত্র মোবাইল নম্বরের সুত্র ধরে আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। সদর থানার এসআই রায়হান
এবং নুর আমিনকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে রাত ১ টা ৪৯ মিনিটে ধর্ষক আমিনুরকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষক আমিনুরকে সনাক্ত করেছে।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবীর জানান, এ ঘটনায় সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।