প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রস্তাব করেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বলেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
সোমবার (৯ নভেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেওয়ার পর সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রস্তাব করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। এরপর প্রস্তাবটির ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়।
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া মেটাতে কবিরাজের কাছে গিয়ে ধর্ষণের শিকার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট যদি না ঘটতো তাহলে বহু আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো। কষ্ট করে যিনি স্বাধীনতা এনে দিলেন তাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে শুধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে হত্যা করা হয়নি, পরিবারের সব সদস্যকে হতা করা হয়। আমার ছোট ভাইটিও রেহাই পায়নি। আমরা বিদেশে ছিলাম তাই বেঁচে গিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মবিশ্বাস নিয়েই চলতেন। কিন্তু আমাদের সব থেকে বড় দুর্ভাগ্য, বার বার গ্রেপ্তার হয়ে বাবা কারাগারে ছিলেন। আমরা তো সন্তান হিসেবে একটানা দুই বছরও বাবার স্নেহ-ভালোবাসা পাইনি। দেখা হয়েছিল বন্দীখানায়।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের কারাগারে তাকে এতো নির্যাতন করা হতো সেটা তিনি আমাদের কখনো বলেননি। আমার ছোট বোন রেহানা বাবাকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করতো, তিনি (বঙ্গবন্ধু) বলতেন তুই সহ্য করতে পারবি না, জানার দরকার নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস আসলে মুছে ফেলা যায় না, ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয়। আজকে সেই নাম আর কেউ মুছতে পারবে না, ইতিহাস আর কেউ মুছতে পারবে না। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। এটা সৌভাগ্য ২০২০ সাল জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি, এই সংসদে আমরা আছি।