আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে আরো জমকালো করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ব্রডকাস্ট চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টুর্নামেন্টের ৫টি দলে অংশগ্রহণ করবে দেশের সর্বমোট ৭৫জন ক্রিকেটার। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান নিশ্চিত করেছেন যে, টুর্নামেন্টের জন্য আন্তর্জাতিক কোনো ক্রিকেটারকে আমন্ত্রন জানানো হবে না। তবে এর আয়োজনে কোনো রকম ঘাটতি রাখতে চায়না বোর্ড।
ক্লাবগুলোর মালিকানা বিক্রির জন্য পৃষ্ঠএবং আন্তর্জাতিক ব্রডকাস্টের জন্য ইতোমধ্যেই টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। পৃষ্ঠপোষকের জন্য মাঠের বিজ্ঞাপন স্বত্ব বিক্রিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিপুল অর্থ প্রয়োজন। পৃষ্ঠপোষকদের আগ্রহের উপর নির্ভর করছে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টর ভবিষ্যৎ। যদি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া না যায়, তাহলে এর ব্যয় কমিয়ে আনা হবে এবং বোর্ড নিজ খরচে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে। যদি অংশগ্রহনকারী ৫টি দলই পৃষ্ঠপোষকতা পায়, তাহলে টুর্নামেন্টের আয়োজন হবে জমকালো।
বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়ার কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে সাড়া পাচ্ছি। শুনেছি অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অনেক কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করছে। ব্রডকাস্টার পেলে আন্তর্জাতিকভাবে ম্যাচগুলো সম্প্রচার করা যাবে। আমাদের ব্রডকাস্ট হবে আলাদা, প্রোডাকশানও
আলাদা। এমনকি ডিজিটাল বিষয়বস্তুও হবে আলাদা। কেউ ডিজিটাল স্বত্ত্ব নিতে পারে অথবা তারা আলাদা আলাদা ভাবে ব্রডকাস্ট ও প্রোডাকশন নিতে পারে।’
নভেম্বারের মধ্যভাগে আয়োজিত হতে পারে এই টুর্নামেন্ট। সেই লক্ষ্য নিয়েই এগুচ্ছে বিসিবি। তবে টুর্নামেন্ট বিলম্বিত হবার সম্ভাবনাও রয়েছে। জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা যদি আন্তর্জাতিক ব্রডকাস্ট এর জন্য চেস্টা করি, তাহলে কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে। এ জন্য বাড়তি আট থেকে ১০দিন সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে ১৫ নভেম্বরের পরিবর্তে ভিন্ন তারিখে টুর্নামেন্টের আয়োজন হবে। পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার পর টুর্নামেন্টের দল গঠন এবং খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নির্ধারণ হবে।’